রাজ্যসভায় পাশ সন্ত্রাস বিরোধী ইউএপিএ বিল

অমিত শাহ্‌ (Photo: IANS/RSTV)

রাজ্যসভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভােটে পাশ হয়ে গেল ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরােধ (সংশােধনী) বিল, ২০১৯’। বিলের পক্ষে ভােট পড়ে ১৪৭টি। বিলের বিপক্ষে ৪২টি ভােট।

এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে। এবার থেকে সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে যেকোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।

আজ রাজ্যসভায় ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরােধ (সংশােধনী) বিল, ২০১৯’ নিয়ে বিতর্ক চলার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম নেই। কক্ষের সব সদস্যের উচিত বিলটিকে সমর্থন করা। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা সম্ভব হবে বিলটি পাশ হলে’।


বিলটি লােকসভায় পাশের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন এতে মানবাধিকার লঙঘন হবে না। বিরােধীদের অভিযােগ ছিল এই আইনের কারণে নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার হতে পারে।

১৯৬৭ সালে ইউএপিএ আইন অনুযায়ী কোনও সংগঠন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকলে, সন্ত্রাসবাদী কোনও ঘটনা ঘটাতে চাইলে বা তাদের মাধ্যমে কোনওভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রচার হলে ওই সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন করতে পারতাে কেন্দ্র সরকার।

সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ডিজি অনুমতি নিয়ে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতাে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তবে সংশােধনী বিলে বলা হয়েছে শুধুমাত্র কোনও সংগঠন নয়, এবার থেকে যেকোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেও সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা যাবে। ওই ব্যাক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে এনআইএ।

বিল পাশের মােদি সরকারের তাড়া নিয়ে সমালােচনা করেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম। তিনি বিলটিকে ঐতিহাসিক ভুল বলে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে হত্যা করা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের উদাহরণ টেনে এনে চিদম্বরম বলেন, ‘দয়া করে হাফিজ সইদের সঙ্গে গৌতম নাভলাখার তুলনা টানবেন না।