ত্রিপুরায় শব্দদানব রুখে আক্রান্ত খোদ ওসি, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রক্তাক্ত হলেন খোদ থানার ওসি। অভিযোগ, মাটিতে ফেলে পেটানো হয় তাঁকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’পক্ষের ঝামেলা থামাতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়া থানার ওসি শিবুরঞ্জন দে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর বিসর্জন উপলক্ষে শুক্রবার রাতে শোভাযাত্রা বের করে ১ নম্বর টিলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। সেই শোভাযাত্রাটি আটকান ওরিয়েন্টাল ক্লাবের সদস্যরা। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমেই তা হাতাহাতির রূপ নেয়।

অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বিলোনিয়া থানার ওসি শিবুরঞ্জন দে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। এরপর ওসি ওরিয়েন্টাল ক্লাবের সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তখন বেশ কয়েকজন লোক তাঁকে আক্রমণ করে বলে জানা গিয়েছে।


এই ঘটনার পরেই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন ক্লাবে সদস্যরা। গাড়ি এবং সাউন্ড বক্স বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উদ্যোক্তাদের পাল্টা অভিযোগ, শোভাযাত্রায় থাকা সঙ্গীতশিল্পীকে নিগ্রহ করেছেন ওসি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগরতলার অন্যান্য ক্লাব সরকারি নির্দেশ অনুসরণ করলেও, বিলোনিয়ার ওরিয়েন্টাল ক্লাব নির্দেশ অমান্য করেছে। অভিযুক্তরা বিজেপি কর্মী বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। শুধু তাই নয়, দলীয় ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করা হয় বলেও অভিযোগ।

এদিকে ত্রিপুরায় ওসিকে মারধরের ঘটনা নিয়ে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার কিছু বলবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে?’

ত্রিপুরা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘একজন দায়িত্বে থাকা অফিসারের উপর হামলা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এদিকে গোটা ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরেই শোরগোল পড়েছে দেশজুড়ে। একজন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের উপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তার নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই।