ভোটাধিকার কাড়তে নির্লজ্জ কমিশন: অভিষেক

ফাইল চিত্র

বিহারে এসআইআর-এর আবহে রাজ্যের বিএলওদের প্রশিক্ষণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। তারই মাঝে বাংলার দুই অফিসারকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সাসপেন্ড করেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আরও একবার তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির নির্দেশে কমিশন কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ক্ষুব্ধ-কণ্ঠে অভিষেক বলেন, ‘আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পর স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ। কিন্তু এক-দেড় বছর আগে থেকে এই তৎপরতা কেন? সরকারকে কাজ করতে না দিয়ে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রকৃত ভোটার যাতে ভোট দিতে না পারে, ভোটাধিকার কাড়তে নির্লজ্জ ভূমিকা পালন করছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমস্যা হলে তারা রাজ্য সরকারকে জানাতে পারে, কিন্তু কারও নাম কাটতে পারে না।’ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনা ইস্যুতে ফের একবার সুর চড়ান অভিষেক। জানান, জলজীবন মিশনের টাকাও বন্ধ করেছে কেন্দ্র।

‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক এবং নৈশভোজে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, এ দিন তারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন সাংসদ। এসআইআর এবং পহেলগাম হত্যাকাণ্ড যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, তা নিশ্চিত হয়েছে তাঁর বক্তব্যে। বিরোধীদের বৈঠকে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে কেন্দ্রকে চাপে ফেলার কৌশলও আলোচনা হতে পারে। অভিষেক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার কেবল রাজ্যের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য, অন্য আরও কারও কাছে নয়। বিচারব্যবস্থাকে আমি সম্মান করি। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে গত চার বছরে ৫০টিরও বেশি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টে প্রভাব খাটানো হয়েছে তৃণমূলকে চাপে রাখতে এবং বাংলাকে ছোটো করতে।


সন্দেশখালি এবং আরজি কর নিয়েও বাংলার দুর্নাম ছড়ানো হয়েছিল সারা দেশে। কিন্তু কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টায় যা করেছিল, সিবিআই এক বছরে তার বেশি কিছু করতে পারেনি। ২০২১ বা ২০২৪-এর ভোটের পরও বিজেপি শিক্ষা নেয়নি। তবে সেই শিক্ষা ২০২৬ সালে পাবে।’ পহেলগাম ইস্যুতেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। অধিকাংশ দেশই পহেলগামের বিরোধিতা করে কোনও বিবৃতি দেয়নি। পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টিও করা হয়নি। কেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনর্দখলের চেষ্টা করছে না কেন্দ্র? ফের একবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক।