সাতসকালে সােপিয়ানে তিন জঙ্গি খতম, স্টিলের বুলেট নিয়ে চিন্তায় বাহিনী 

প্রতীকী ছবি (Photo: IANS)

আর্মার পিয়ার্সিং। স্টিলের বুলেটের পােশাকি নাম। এই স্টিলের বুলেট এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় সেনা ও সিআরপিএফ-র সামনে। কারণ স্টিল বা টাংস্টেন কার্বাইড দিয়ে তৈরি এই বুলেট পাওয়া গিয়েছে জঙ্গি’দের কাছ থেকে। মূলত চিনে তৈরি হয় এই বুলেট।

এর আগেও এই বুলেট নিয়ে সেনার ওপর আক্রমণ করেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু গত দু’বছরে এই স্টিল বুলেট নিয়ে হামলা চালাতে দেখা যায়নি তাদের। ফের এই বুলেট জঙ্গিদের হাতে পড়েছে। সােপিয়ান জেলার রাওয়ারপােরায় লস্করের কম্যান্ডার সাজ্জাদ আফগানিকে খতম করেছে বাহিনী। তার কাছ থেকেই এই স্টিলের বুলেট পাওয়া গিয়েছে। তারপরেই দক্ষিণ কাশ্মীরে কর্তব্যরত জওয়ানদর সুরক্ষা বাড়ানাে হয়েছে।

বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ভেদ করে শরীরে গেথে যেতে পারে এই বুলেট। এমনকী বুলেটপ্রুফ গাড়ির চাদরও ভেদ করতে পারে। সাজ্জাদ আফগানির কাছ থেকে ৩৬ টি স্টিলের বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, চিনে তৈরি এই বুলেট জঙ্গিদের হাতে আসে কীকরে? এই প্রশ্নের উত্তর নিরাপত্তা বাহিনীর কাছেও নেই।


মূলত একে সিরিজের রাইফেলে এই বুলেট ব্যবহার করা হয়। সাধারণত সেনা জওয়ানরা যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ব্যবহার করেন, তা দিয়ে ঠেকানাে যায় না এই স্টিলের বুলেটগুলি। তাই আপাতত দক্ষিণ কাশ্মীরে ডিউটিতে থাকা জওয়ানদের নিরাপত্তা বাড়ানাে হয়েছে। এমনকী প্রতি চেকপোস্ট, ছাউনিকে সতর্ক থাকার জন্য ওপরতলা থেকে বলা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রথমবার জঙ্গিরা এই বুলেট ব্যবহার করেছিল। সেবার পুলওয়ামার এক সেনা ছাউনিতে এই বুলেট নিয়ে হামলা করেছিল জঙ্গিরা। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে থাকা সত্ত্বেও পাঁচজন জওয়ান জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়ে যান। এরপর ২০১৯ সালেও জঙ্গিরা এই বুলেট নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। 

সোমবার সকালে সােপিয়ানের মনিহাল এলাকায় তিন জঙ্গি’কে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের তরফে জানানাে হয়েছে তিনজনই লস্কর এ তৈবার সদস্য। ওই এলাকায় আরও দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে আন্দাজ করছে যৌথ বাহিনী। সার্চ অপারেশন চলছে। গত সপ্তাহে লস্কর কম্যান্ডার সাজ্জাদ আফগানি মারা যাওয়ার পর বদলা নিতে উঠেপড়ে লেগেছে জঙ্গিরা। সজাগ রয়েছে বাহিনীও। দক্ষিণ কাশ্মীরে সেনার সংখ্যাও বাড়ানাে হয়েছে।