পহেলগামের হামলায় জঙ্গিদের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জেরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বে। গোটা বিশ্ব এই মুহূর্তে এই হত্যাকাণ্ডের বিরোধীতায় একজোট। লস্কর- ই-তৈবার একটি সংগঠন পহেলগামে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে। পাকিস্তানের যোগসূত্র থাকার প্রমাণ মেলায় একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত সরকার। ভিসা বাতিল থেকে শুরু করে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আর এই আবহে পহেলগামের নৃশংস হামলার নিন্দায় একযোগে সোচ্চার হয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু থেকে শুরু করে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ফোন করে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।
সূত্রের খবর, পহেলগামে জঙ্গি হামলার পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক ২০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে আমেরিকা এবং চিনের রাষ্ট্রদূতরা যেমন উপস্থিত ছিলেন, তেমনই ছিলেন জার্মানি, জাপান, পোল্যান্ড, রাশিয়া, ব্রিটেনের মতো দেশের রাষ্ট্রদূতরাও। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন বিক্রম মিস্রি। এই বৈঠকের পরেই হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ফোন করে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রনেতারা।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইজরায়েলের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। এই হামলাকে ‘কাশ্মীরে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী হামলা’ বলে নিন্দা করেছেন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি অপরাধীদের এবং তাদের সমর্থকদের বিচারের আওতায় আনার জন্য দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও এই হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা করে তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইটালির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
অন্যদিকে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ব্যক্তিগতভাবে শোকবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই হামলাকে জঘন্য বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও তিনি ভারতের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেছেন যে এই ধরনের বর্বরতা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণীয়। বৃহস্পতিবার পহেলগামে হামলা নিয়ে বিশেষ বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকার বিদেশ দপ্তর। সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও স্পষ্ট জানিয়েছেন যে আমেরিকা ভারতের পাশে রয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক।এছাড়াও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, জর্ডনের রাজা আবদুল্লা- সকলেই ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।