কেন্দ্রের তিন প্রতিনিধির বিসদৃশ আচরণে কারগিল বিজয় দিবসে বাড়ল বিড়ম্বনা

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রবিবার দেশজুড়ে পালিত হল কারগিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি। ’৯৯ সালের বীর যোদ্ধাদের কীর্তি, বলিদান স্মরণ করল গোটা দেশ। সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। দিল্লির জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে শহিদ তর্পণ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কারগিল যুদ্ধ স্মারকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, প্রতিরক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, লাদাখের উপরাজ্যপাল কবীন্দ্র গুপ্তারা। কিন্তু তাল কাটল কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের ভূমিকা নিয়ে।

খবরে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় সরকারের তিন প্রতিনিধির কারণে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই অনুষ্ঠানে যথেষ্ট বিড়ম্বনার সৃষ্টি হল। সদ্য দায়িত্ব নেওয়া লাদাখের উপরাজ্যপাল কবীন্দ্র গুপ্তা প্রথম বিতর্ক বাধালেন। এদিনের অনুষ্ঠানে যে নির্ধারিত স্থানে শহিদদের সম্মানে উৎসর্গ করা ফুলের স্তবক রাখতে হয়, তিনি কিছুতেই সেখানে ঠিকভাবে রাখতে পারছিলেন না। বার তিনেকের চেষ্টায় কোনওমতে রাখলেন সঠিক জায়গায়।

এরপর প্রতিরক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠকে নিয়ে মেমোরিয়াল জুড়ে হাসির রোল উঠল। কারণ, এই ধরনের স্মরণসভায় সেনা প্রতিনিধিরা মার্চপাস্ট করে আসেন। অসামরিক ব্যক্তিদের তা করতে হয় না। তবু তিনি মার্চপাস্ট করতে গেলেন ও সব গুলিয়ে ফেললেন। ডান পায়ের সঙ্গে ডান হাত ও বাঁ পায়ের সঙ্গে বাঁ হাত তুলে ফেললেন তিনি। আর ফুল দিয়ে অমর জওয়ান জ্যোতিতে প্রণাম বা স্যালুট – কিছুই করার প্রয়োজন অনুভব করলেন না দিনের প্রধান অতিথি মনসুখ মাণ্ডব্য। এই তিন ঘটনা বাদ দিলে শহিদ দিবস পালন হল পূর্ণ মর্যাদা সহকারে।