রবিবার বিকেল ৫টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি, তবু এই ভাষণ ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
বিশেষ করে সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে চালু হতে চলেছে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)-র নতুন কাঠামো। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, জিএসটি-র বর্তমান চার স্তরের হার (৫%, ১২%, ১৮% ও ২৮%) সরলীকরণ করে এখন থেকে মাত্র দু’টি স্তরে কর ধার্য হবে – ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ। ফলে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, দীপাবলির আগেই দেশবাসী ‘দ্বিগুণ স্বস্তি’ পেতে চলেছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এই কাঠামো সংস্কারের। রবিবারের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।
উল্লেখ্য, অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, জাতির উদ্দেশে মোদীর ভাষণ মানেই কোনও বড় সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাতে ঠিক এমনই এক ভাষণ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন নোটবন্দির কথা। বাতিল হয়েছিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট। আবার, ২০২০ সালে কোভিড অতিমারির সময় দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণাও এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমেই।
ফলে এবারেও নতুন কোনও বড় সিদ্ধান্ত আসছে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রবিবার বিকেলের দিকে চোখ রাখছেন সারা দেশের মানুষ।