আমেরিকার সব থেকে বড় কেলেঙ্কারি এপ্টস্টাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও রয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান গত শনিবার এ ব্যাপারে শুধু অভিযোগ নয়, কেন্দ্রের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যার দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে যুব কংগ্রেস নেতা সরল প্যাটেলের দাবি, শুধু মোদী নন, তাঁর মন্ত্রিসভার পেট্রলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর নাম এপস্টাইন ফাইলসে পাওয়া গিয়েছে। সরল প্যাটেল তাঁর এক্সবার্তায় লিখেছেন, মোদীজি এবং তাঁর দল আমাদের নেতা রাহুলের বিদেশ সফর নিয়ে ভীষণ চিন্তায় রয়েছেন অথচ নিজেরাই জেফ্রি এপস্টাইন কেলেঙ্কারির তালিকায় বেশ ওপরে রয়েছেন। এবার কি নিজের মন্ত্রীকে বরখাস্ত করবেন, নাকি এমন ভাব দেখাবেন কিছুই ঘটেনি।
মার্কিন হাউস ওভারসাইট কমিটির রেকর্ড বলছে, ভারতীয় ধনকুবের শিল্পপতি অনিল আম্বানি ২০১৭ সালের মার্চে এপস্টাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। বিষয়টি ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম সরকারি ওয়াশিংটন ডিসি সফরের সময়কার। যদিও এখনও পর্যন্ত এপস্টাইনের অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগের সঙ্গে ভারতীয় কোনও অভিজাত ব্যক্তি বা নেতার যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি।
তা সত্ত্বেও কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলি এই প্রমাণগুলি হাতে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদীর কার্যালয়কে জবাব দেওয়ার চাপ দিয়েছে। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি স্পষ্টভাবে এই ফাইলে নাম থাকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
দ্য সানডে গার্ডিয়ান লিখেছে, এপস্টাইন ফাইলে বেশ কিছু হাই-প্রোফাইল ভারতীয়ের নাম তালিকায় রয়েছে। এপস্টাইনের অপরাধজনক যৌনকর্মী-শিশু পাচার নেটওয়ার্কের সঙ্গে নেপথ্য যোগাযোগ ও বৈঠক করিয়ে দেওয়ার সূত্র মিলেছে। যদিও খুব নিখঁতভাবে খতিয়ে দেখে এর প্রামাণ্য তথ্য বিশেষ মেলেনি।
২০১৯ সালের একটি প্রামাণ্য ই-মেল থেকে জানা গিয়েছে, এপস্টাইন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাক্তন পরামর্শদাতা স্টিভ ব্যাননের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। চিন-বিরোধী কৌশল রূপায়ণে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে এপস্টাইনের লেখায় পাওয়া গিয়েছে, মোদী অন বোর্ড কথাটি। ই-মেলে এপস্টাইনে এই আলোচনায় বসার চেষ্টা করলেও , মোদীর বৈঠকের সরকারিভাবে কোনও প্রমাণ মেলেনি।