স্বাধীন ভারতে সর্ববৃহৎ ধ্বংসলীলা: কেজরি

পুরসভার বেআইনি দখল বিরোধী অভিযানকে মেনে নেওয়া যায় না, আপ কোনওদিন তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।

তিনি বলেন, রাজধানী শহরের সর্বত্র যেভাবে বেআইনি পরিকাঠামো গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, আম আদমি পার্টি সেই পদ্ধতির বিরুদ্ধে সওয়াল করছে।

রাজধানী শহরের বেআইনি কলোনিগুলোতে ৫০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। ১০ লাখের বেশি মানুষ ঝুপড়িতে বসবাস করেন।


তিনি আরও বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রাজধানী শহরকে তৈরি করা হয়নি, ফলে শহরের ৮০ শতাংশ জায়গাকে বেআইনি ও দখলদারি প্লট বলা যায়। তাহলে কি ৮০ শতাংশ দিল্লি শহরকে গুড়িয়ে দেওয়া হবে?

এই ধরনের কার্যকলাপ মেনে নেওয়া যায় না। গত ১৫ বছর ধরে বিজেপি পুরসভায় রয়েছে। ওরা টাকা খেয়েছে।

আগামি গুড়িয়ে ১৮ মে পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তার আগে শহরের বেআইনি পরিকাঠামো গুড়িয়ে দেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত কি ওরা নিতে পারে। সকলে জানেন আপ দিল্লি পুরসভার ক্ষমতায় আসবে।

বেআইনি দখলদারি ও বেআইনি কলোনিতে বসবাসকারীদের মালিকানা সংক্রান্ত অধিকার দেওয়া হবে শহরে বেআইনি পরিকাঠামো গুড়িয়ে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা ‘স্বাধীন ভারতে সবথেকে বড় ধ্বংসলীলা’।

বেআইনি পরিকাঠামো গুড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করার জন্য আপ বিধায়কদের জেলেও যেতে হতে পারে, তার জন্য দলের বিধায়কদের প্রস্তুত থাকতে বলেন।

বেআইনি দখল বিরোধী অভিযান সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘শহরে ৬৩ লাখ মানুষ বসবাস করেন।

বুলডোজার দিয়ে যদি ওই মানুষগুলোর বাড়িঘর ও শহরের ছোটো ছোটো দোকানগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়, যেগুলোকে বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাহলে স্বাধীন ভারতে সেটাই হবে সব থেকে বড় সরকারি ধ্বংসলীলা’।

দলের বিধায়কদের সঙ্গে উক্ত বিষয়ে এক বৈঠকে দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, “শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি পরিচালিত পুরসভা যেভাবে বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বুলডোজার চালাচ্ছে, সেই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করার জন্য বিধায়কদের জেলেও যেতে হতে পারে। তার জন্য সকলে প্রস্তুত থাকুন’।

তিনি বলেন, ‘ওরা বুলডোজার নিয়ে কলোনিগুলোতে পৌছে যাচ্ছে। কলোনির দোকান ও ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিয়ে শতাধিক মানুষকে ঘরছাড়া করছেন।

স্থানীয়দের অনেকে বাড়িঘরের দলিল দেখালেও সেগুলিকে উপেক্ষা করে বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে’।