করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারির যোদ্ধাদের কোনও হেনস্থাকে বরদাস্ত করবে না সরকার : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিকি ছবি (Photo: AFP)

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রথম থেকে যে সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালাচ্ছেন তাদের কোনও রকম হেনস্থা বা অপদস্থ করা সরকার বরদাস্ত করবে না বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

এদিন কর্ণাটকের রাজীব গান্ধি উইনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস এর রজত জয়ন্তী উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এক বার্তায় জানান, করোনা অদৃশ্য শত্ৰুহিসেবে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু যারা এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন তারা সফল হবেনই। করোনা অতিমারি মোকাবিলায় তিনি কর্ণাটক সারের কাজের প্রশংসা করেন।

তিনি জানান, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এর মধ্যে প্রতিরোধী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা সাধ্যের মধ্যে আনা, সরবরাহের উন্নতি এবং লক্ষ্য নির্ভর রূপায়ণে জোর দেওয়া হয়েছে। প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের ঘাটতি পূরণে নতুন আইন আনা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।


তিনি জানান, দেশে পঞ্চম দফার লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেও ভারত বিশ্বে দশটি সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত দেশের মধ্যে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে। প্রতিদিনই নতুন সংক্রমণের নজির সৃষ্টি হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। জার্মানি ও ফ্রান্সকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সংক্রমণে। মৃত্যুর নিরিখে ছাড়িয়ে গিয়েছে রাশিয়াকেও। ভারতে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সোমবার পর্যন্ত দেশে দুই লক্ষ ছুঁতে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারত এখন আক্রান্তের নিরিখে জার্মানি ও ফ্রান্সকে ছড়িয়ে সপ্তম স্থানে চলে এসেছে।

গত চব্বিশ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট হাজার। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু ও দিল্লি সংক্রমণের প্রথম সারিতে রয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টাতেই দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুশো ত্রিশ জনের।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার তিনশো চুরানব্বই জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে দু’হাজার দুইশত ছিয়াশি জনের, গুজরাতে এক হাজার আটত্রিশ জনের, দিল্লিতে চারশো তিয়াত্তর জনের, মধ্যপ্রদেশে তিনশো পঞ্চাশ জনের, পশ্চিমবঙ্গে তিনশো সতেরো জনের, উত্তরপ্রদেশে দুশো তেরো জনের, রাজস্থানে একশো চুরানব্বই জনের এবং তামিলনাড়ুতে একশো তিয়াত্তর জনের।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে গত চব্বিশ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা তিনশো একাত্তর। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে দুশো পঁয়তাল্লিশ জনের এবং কোমর্বিডিটিতে মৃত্যু হয়েছে বাহাত্তর জনের। তবে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় বিরানব্বই হাজার জন সুস্থ হয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।