মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই আরো জোরদার হবে, বিজাপুরে আশ্বাস দিলেন অমিত শাহ

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (File Photo: IANS)

ছত্তিশগড়ে সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে মাওবাদীদের সঙেঘ সঙ্ঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২২ সিআরপিএফ জওয়ান। সাম্প্রতিককালে এত ভয়াবহ সঙঘর্ষের ঘটনা আর ঘটেনি। এই ঘটনার পর আজ সকালে বিজাপুর গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বিজাপুরে সাংবাদিকদের মুখােমুখি হয়ে তিনি বলেন, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হবে। তবে এই ঘটনায় ইন্টেলিজেন্স বা গােয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরে কোনও ত্রুটি ছিল না বলেই জানিয়েছেন সিআরপিএফ-এর ডিজি কুলদীপ সিং। ছত্তিশগড়ের ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানিয়েছেন-সিআরপিএফ-এর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন মাওবাদীর। সঠিক সংখ্যাটা এখনও জানা যায়নি। ছবিত্তশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গেও দেখা করেন অমিত শাহ।


শনিবার দুপুরে তারেম অঞ্চলের জঙ্গলে মাওবাদীদের খোঁদে যৌথ বাহিনী যে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল, তার পরেই মাওবাদীরে সঙ্গে সঙঘর্ষে শহিদ হন একাধিক জওয়ান।

শনিবার মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে ছত্তিশগড়ের সুকমা ও বিজপুরের পাঁচটি ক্যাম্প থেকে প্রায় ২ হাজার জওয়ান তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এদের মধ্যে সিআরপিএফ, কোবরা বাহিনী, ডিআরজি ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা বিজাপুরের তারেম, উসুর ও পামেদ এবং সুকমার মিনপা ও নরসাপুরমে অভিযান চালায়।

সিআরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে মােস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতা হিদমা ওই জঙ্গলেই উপস্থিত ছিল। তাকে ধরার জন্যই এই অভিযান চালানাে হয়। তবে অতর্কিতেই যৌথ বাহিনীর ওপর হামলা করে মাওবাদীরা।

প্রাথমিক তল্লাশিতে মাওবাদীদের খোজ না মেলায় ক্যাম্পে ফিরে আসছিলেন যৌথ বাহিনীর জওয়ানরা। সে সময় চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে হামলা চালায় জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা।

রবিবার জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় একের পর এক জওয়ানের দেহ। গাছের নিচে সেনা জওয়ানদের দেহ থেকে গুলি, মর্টার পড়ে থাকতে দেখা যায়। সিআরপিএফ সূত্রে জানা যায় হামলার পরে প্রায় দু’ডজনেরও বেশি অস্ত্র লুঠ করেছে মাওবাদীরা।