তেলেঙ্গানার মন্ত্রীর বাসভবনে এসটিএফ-এর তল্লাশি ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসা মন্ত্রীকন্যার

তোলাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেলেঙ্গানার পরিবেশ ও বনমন্ত্রী কোন্ডা সুরেখার বাসভবনে পুলিশের তল্লাশি অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। মন্ত্রীর হায়দরাবাদের বাসভবনে সাদা পোশাকে হানা দেয় পুলিশ। মন্ত্রীর ‘প্রাইভেট অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ এন সুমন্তকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তাঁদের বাধা দেন মন্ত্রীর কন্যা সুস্মিতা। মন্ত্রীর ওএসডি সুমন্তের বিরুদ্ধে এক সিমেন্ট সংস্থার কাছ থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ ওঠায় তাঁর খোঁজেই তল্লাশি চালাতে মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফ। সুমন্তকে কোনও সমন ছাড়াই কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন সুস্মিতা।

তোলাবাজির নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তেলেঙ্গানার পরিবেশ ও বনমন্ত্রী কোন্ডা সুরেখার বিরুদ্ধেও। মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা ওয়ারাঙ্গলের কংগ্রেস সাংসদ। শুধু তা-ই নয়, তিনি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি-র এক জন প্রভাবশালী নেতা। মন্ত্রীর কন্যা সুস্মিতার অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত তাঁর মা এবং বাবাকে ফাঁসানোর জন্য সুমন্তকে গ্রেপ্তার করতে চাইছে পুলিশ। তাঁকে জোর করে বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন যে, তোলাবাজির নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁর বাবা কোন্ডা মুরলী।  

তেলেঙ্গানার পরিবেশ মন্ত্রীর ‘প্রাইভেট অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ এন সুমন্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার ঘটনার সূত্রপাত।  মঙ্গলবার তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখার জুবিলি হিলসের বাসভবনে তল্লাশি অভিযানে যায় হায়দরাবাদ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তথা এসটিএফ। তল্লাশি অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন  মন্ত্রীর কন্যা।
পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় পাল্টা বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুস্মিতার বিরুদ্ধে। বুধবার এই পুলিশী অভিযানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কোন্ডা সুস্মিতা। সুস্মিতার কথায়, ‘আমার মা এবং বাবাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। আমার মা এক জন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে কেন এই ধরনের আচরণ করছে সরকার ? বুঝতে পারছি না, আমাদের দোষ কী ?’ তাঁদের খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রীকন্যা। 
 
জানা গিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে সুষ্মিতার বাদানুবাদ চলাকালীন মন্ত্রী সুরেখা এবং সুমন্ত পুলিশকে এড়িয়ে একসঙ্গে গাড়িতে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, সুমন্তের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। মঙ্গলবার পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব তাঁকে চাকরি  থেকে বরখাস্ত করার আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করেন। পুলিশ তার একদিন পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করে।এদিকে পুলিশের কর্মকর্তারা এই ঘটনা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ। তবে সুমন্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।