সিএএ-এনআরসি প্রসঙ্গে বেঁকে বসল তেলেঙ্গানাও

এনআরসি-সিএবি'র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

সংশােধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে বাকি রাজ্যগুলি। কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গের পর এবার বেঁকে বসেছে তেলেঙ্গানাও। বাকি দুই রাজ্যের সুরে সুর মিলিয়ে তেলেঙ্গানা জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইন সেই রাজ্যে কার্যকর করা হবে না। বুধবারই জানিয়েছে তেলেঙ্গানা সরকার। এনআরসি ও সিএএ’কে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করেছে তেলেঙ্গানা।

বুধবার একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি বলেন, তাঁদের রাজ্যে সিএএ-এনআরসি লাগু না করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভিকে তিনি জানিয়ে দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে দিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বের যে কোনও দেশের অত্যাচারিত হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিক, কিন্তু ভারতে যারা এত বছর ধরে বসবাস করছে তাদের যেন কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। সেই কারণে আমি খুব স্পষ্টভাবে ওঁকে বলেছি যে, তেলেঙ্গানায় এনআরসি বা সিএএ আমরা লাগু করতে দেব না।

প্রসঙ্গত, প্রথম রাজ্য হিসেবে মঙ্গলবার সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরােধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছে কেরল সরকার। নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের ১৪, ২১ এবং ২৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী বলে দাবি করেছে কেরল সরকার। এছাড়াও পৃথক প্রায় ৬০টি পিটিশন দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। কিন্তু কোনও রাজ্য সরকার হিসেবে কেরলই প্রথম সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছে। একই সঙ্গে বিধানসভাতেও প্রস্তাব পাশ হয়েছে সে রাজ্যে। তবে তেলেঙ্গানাও এই নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে ফেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়া একপ্রকার নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যায়। কেননা ইতিমধ্যে এনডিএ-র সরকারে থাকা বহু রাজ্যই এনআরসি নিয়ে নিজেদের আপত্তি স্পষ্ট করে দিয়েছে।