মঙ্গলবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর জালালিকে স্বাগত জানান বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব আনন্দ প্রকাশ। সূত্রের খবর, ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতেই এই সফর। একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ওষুধ আমদানি বৃদ্ধি, চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন জালালি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভারতে এসেছিলেন তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তার পর নভেম্বরে দিল্লি সফর করেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ নুরুদ্দিন আজিজি। ধারাবাহিক এই সফরগুলিকে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত বলেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আফগানিস্তানে ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের উপর নির্ভরশীল ছিল কাবুল। দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ ওষুধই আসত ইসলামাবাদ থেকে। তবে সাম্প্রতিক সংঘাতের জেরে পাকিস্তান থেকে ওষুধ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আফগান সরকার। এর ফলে সে দেশে তীব্র ওষুধ সংকট দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে ভারত থেকে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী তালিবান সরকার। আফগানিস্তানের উন্নয়নে বরাবরই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দিল্লি। ভারতের আর্থিক সহায়তায় সে দেশে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। সূত্রের খবর, পুরনো প্রকল্পগুলির অগ্রগতির পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়েও আলোচনায় বসতে পারে দুই দেশ।