অসমের রেললাইনে বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন মাওবাদী কোকরাঝাড়ে এনকাউন্টারে নিহত

প্রতীকী ছবি

অসমের কোকরাঝাড় জেলার একটি রেললাইনে আইইডি বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে একজন মাওবাদী সন্দেহভাজনকে হত্যা করেছে পুলিশ। অসম পুলিশের দাবি, সম্প্রতি রেললাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন মাওবাদীরা। এই ঘটনার পরেই অসমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রেললাইনগুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কোকরাঝাড়ের পুলিশ সুপার পুষ্পরাজ সিং জানিয়েছেন, ‘কোকরাঝাড়ের বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাবাদীদের খুঁজতে নাদানগুড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযান চলাকালীন একটি এনকাউন্টার ঘটে। মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় চলে। মাওবাদীদের কড়াহাতে প্রতিহত করার পর তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।’ 
 
এসপি বলেন, ‘আমাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে নাদানগুড়ি এলাকায় বেশ কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছেন। সেই মতো গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই গুলি চলতে শুরু করে। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। পুলিশের গুলিতে একজন মাওবাদী ঘায়েল হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
 
পুষ্পরাজ সিং জানিয়েছেন, নিহত মাওবাদীর নাম আপিল মুর্মু ওরফে রোহিত মুর্মু, বয়স ৪০। নিহতের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি অসম ও ঝাড়খণ্ডে বেশ কয়েকটি হিংসাত্মক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। যদিও এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। তল্লাশি চলাকালীন ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, ২টি গ্রেনেড, ১টি ভোটার কার্ড এবং ১টি আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
 
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডের একটি পুলিশের দল সম্প্রতি কোকরাঝাড়ে নিয়ে আসা হয় যৌথ অভিযান পরিচালনা করতে। উদ্দেশ্য ছিল রোহিত মুর্মুকে গ্রেপ্তার করা। ২০১৫ সাল থেকে হিংসাত্মক কার্যকলাপে সক্রিয় ছিলেন রোহিত। তিনি অসম ও ঝাড়খণ্ডে দুই রাজ্যেই বসবাস করতেন। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০২৪-এর অক্টোবরে ঝাড়খণ্ডের এক ট্রেন বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।’
 
তিনি আরও বলেছেন, ‘কোকরাঝাড় রেল রোডে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল, সেটিও একই পদ্ধতিতে ঘটেছিল। আমরা সন্দেহ করছি যে তাঁর কোকরাঝাড় বিস্ফোরণে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’  প্রসঙ্গত, গত বুধবার গভীর রাতে অসমের কোকরাঝাড় ও সালেকাটি স্টেশনের মাঝে আপ লাইনে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায়  রেললাইনের একাংশ।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় একাধিক জায়গায় গর্ত হয়ে যায়। এর জেরে ব্যাহত হয় ওই লাইনের রেল চলাচল। বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে যান জিআরপি, অসম পুলিশ-সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা জানান, বিস্ফোরণে আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে।