দিল্লি, ২৯ এপ্রিল – জমি দুর্নীতির ঘটনায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিন মামলায় ইডির কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। স্ত্রী কল্পনা সোরেন বিধানসভা উপনির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন অর্থাৎ সোমবারও সুপ্রিম স্বস্তি মিলল না হেমন্ত সোরেনের। সোরেনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল সোমবার। আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
জমি দুর্নীতি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্ত সোরেনের নাম জড়িয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ৩০ জানুয়ারি তল্লাশি অভিযান চলে তাঁর দিল্লির বাড়িতে। গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে জেএমএম নেতা হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ জানুয়ারি রাতে গ্রেফতারির আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত। দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করেন হেমন্ত। হেমন্তের গ্রেফতারি নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করে বিরোধীরা। তাঁর গ্রেফতারি বেআইনি বলেও দাবি করে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা । ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, জামিন চেয়ে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে আবেদন করেন হেমন্ত। সেই মামলার শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় দেয়নি, ঝাড়খণ্ডের উচ্চ আদালত। তার পরই গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টেও জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির বিরোধিতা করে মামলা লড়েন আইনজীবী কপিল সিব্বাল। লোকসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয় হেমন্তর তরফে। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সিব্বাল বেঞ্চকে জানান, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে হেমন্তের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের উচ্চ আদালতে। তবে শুনানি শেষ হলেও সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে হাই কোর্ট। তাই জামিনের আবেদন করা হয় দেশের শীর্ষ আদালতে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ ইডিকে নোটিস পাঠিয়েছে। আগামী ৬ মে-র মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টকে সোরেনের আর্জির বিষয়ে রায় ঘোষণা করতে বলেছে বেঞ্চ। ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।