টিকার অপচয় বন্ধ করুন: প্রধানমন্ত্রী, শিশু ও অল্পবয়সীদের তথ্য নিতে ডিএমদের নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo:SNS)

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ১০ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ ডিএম দের সাথে কারােনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল সভা কনে। শুধু ১০ টি রাজ্য নয় কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল পুদুচেরির প্রতিনিধিরা ছিলেন এই ভার্চুয়াল সভায়।

মহারাষ্ট্র, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়। হরিয়ানা, ওড়িশা, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সহ ডিএমরা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান, ‘ভাইরাসের রূপ পরিবর্তনের ফলে শিশু অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রে সংত্রমণ বাড়ছে।

তাই করােনা আক্রান্ত শিশু অল্পবয়সিদের তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করতে হবে করােনা টিকার যাতে অপচয় না হয়, সেই ব্যাপারে কড়া নজরদারি চালাতে হবে টিকার যথাযথ ব্যবহার করা উচিত। গ্রামীণ ও শহরে করােনা পরিস্থিতি নিয়ে নজর দিতে হবে’। এই ধরনের নির্দেশ সমস্ত ডিএমদের দেন প্রধানমন্ত্রী। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘােষণা করল কেন্দ্র।


এই রােগকে মহামারি ঘােষণার জন্য প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি। পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সম্পাদক লব আগরওয়াল। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘মিউকমাইকোসিসের শনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা সমস্ত সরকারি,বেসরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিকে মেনে চলতে হবে।

চিঠিতে এই রােগকে ‘মহামারি’ আইন এর অধীনে তালিকাভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এই রােগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে জানাতে হবে রাজ্যগুলিতে। ঠিক যেমনটা হচ্ছে করােনাভাইরাসের ক্ষেত্রে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত করােনা রােগীদের

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। করােনা রােগী ছাড়া অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই রােগে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রােগে নাকের উপর কালাে ছােপ, দেখতে অসুবিধা হওয়া, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতাে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই দেড় হাজারের বেশি ব্লাক ফাঙ্গাসের রােগী চিহ্নিত হয়েছে। ৯০ জনের মৃত্যুও হয়েছে এই রােগে। পশ্চিমবঙ্গেও পাঁচজনের শরীরে এই রােগের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।

এমস কেন্দ্রকে পরামর্শ দেয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘােষণার জন্য। রাজস্থান এবং তেলঙ্গানা ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসাবে ঘােষণা করেছে। এর পরই সমস্ত রাজ্যগুলিকে এ পথে হাঁটতে বলল কেন্দ্র।