আজ, সোমবার লোকসভায় বন্দে মাতরমের ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের ফাঁকেই বিশেষ সংসদীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির (বিএসি) নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, এই আলোচনায় অন্তত ১০ ঘন্টা ধরে সংসদীয় বিতর্ক চলবে। সেই সুযোগে এসআইআর নিয়ে কেন্দ্রকে চেপে ধরতে চাইছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। সূত্রের খবর, বিরোধী শিবির ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর নিয়ে বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, যাতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যায়।
প্রসঙ্গত, বিএসি বৈঠকে প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল, সংসদের দুই কক্ষে এসআইআর নিয়ে আলোচনা চলবে। তবে এর বিস্তারিত নির্ঘণ্ট এখনও সংসদীয় সচিবালয় বা কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। শনিবার দিল্লিতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
লোকসভা ও রাজ্যসভার তৃণমূলের দুই ডেপুটি লিডার শতাব্দী রায় এবং সাগরিকা ঘোষ বলেন, ‘বিরোধীদের প্রশ্নের ভয়ে পালাতে চাইছে সরকার। এসআইআর বা সার নিয়ে সংসদের দু’কক্ষেই মোদী সরকারের আলোচনা করতে হবে।’
উল্লেখ্য, এদিন তৃণমূল কেন্দ্রের একশো দিনের কাজসহ অন্যান্য প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রাখার বিষয়েও সরব হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভরতপুরের বিধায়ককে নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে দুই সাংসদ জানান, ‘হুমায়ুন কবীর ইতিমধ্যেই সাসপেন্ডেড, তিনি এখন আমাদের দলের নন।’