ইমরান ও কুরেশীকে ১০ বছরের সাজা দিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত

ইসলামাবাদ, ৩০ জানুয়ারি: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দশ বছরের সাজা। প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়কের বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। দেশের গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার পর এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

একই অভিযোগে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও ইমরানের দলের (পিটিআই) অন্যতম নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও একই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার একটি বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন এই আদেশ দিয়েছেন। ইমরানের আইনজীবী শোয়েব শাহীন একটি টেক্সট বার্তায় এই খবর দিয়েছেন। যদিও ইমরান খান এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন একটি গোপন বার্তায় ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদ সরকারের গোপন খবর সরবরাহ করেছিলেন। ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ’ ওরফে পিটিআই এই সাজার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও শাহ মেহমুদ কুরেশি, দুই জনকেই দশ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। তবে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। এবং এটাকে “শেম কেস” অর্থাৎ লজ্জাজনক মামলা বলে অভিহিত করব।


পিটিআই তার এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, পাকিস্তান ইমরান খান ও শাহ মেহমুদ কুরেশির পাশে আছে। যাঁরা পাকিস্তানের মানুষকে প্রকৃত স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের মার্চ থেকে এপ্রিলে যা ঘটেছিল, তা এই ধরণের প্রহসনমূলক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ একটি হাস্যকর এবং আইনকে অমর্যাদাকর মামলা। আমাদের অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক খুব শীঘ্রই ফিরে আসবেন। এবং এই ধরণের সাজার আদেশনামা অবশেষে ডাস্টবিনে পড়ে থাকবে।

প্রসঙ্গত ইমরান ও কুরেশির বিরুদ্ধে এর আগে গত অক্টোবরেও এই মামলা আদালতে তোলা হয়েছিল। তখন তাঁদের দুইজনকেই নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছিল। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিকে ভুল বলে অভিহিত করেছে। এবং এই মামলাটিকে বাতিল করেছে। কিন্তু গত ১৩ ডিসেম্বর বিশেষ আদালত পুনরায় এই মামলাটি উত্থাপন করেছে।