আমেথি খুইয়ে রাহুলের মানরক্ষা ওয়েনাড়ে, রায়বেরিলিতে কঠিন লড়াইয়ে জয় সোনিয়ার

রাহুল গান্ধি (Photo: IANS)

সকালের দিকে আমেথিতে পিছিয়ে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। বেলা যত গড়িয়েছে, তাৎক্ষণিক টানাপােড়েন কাটিয়ে ততই বেড়েছে ব্যবধান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি আমেথিও খােয়াতে হয়েছে রাহুলকে। তবে কংগ্রেস সভাপতির মানরক্ষা করেছে কেরলের ওয়েনাড কেন্দ্রটি। সেই কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছেন রাহুল।

অন্যদিকে গান্ধি পরিবারের আরেক শক্ত ঘাঁটি রায়বেরিলিতে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে রয়েছেন ইউপি চেয়ারপারসন সােনিয়া গান্ধিও। এই কেন্দ্রটিতে সােনিয়া নির্বাচিত হয়ে আসছেন ২০০৪ সাল থেকে। গত লােকসভা নির্বাচনেও তিনি ৩ লক্ষ ৫২ হাজারেরও বেশি ভােটে জয়লাভ করেছিলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তুল্যমূল্য লড়াই চলার পর জয় এসেছে তাঁর।

এদিন সকাল থেকে অবশ্য ওয়েনাড় কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন রাহুল। আমেথিতে রাহুলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, যাঁকে গতবার রাহুল গান্ধি হারিয়েছিলেন এক লক্ষ সাত হাজার ভােটে। ওয়াকিবহাল মনে করছে, রাহুলের আমেথি না জেতার মতাে পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অর্থ, তাঁর দলের চূড়ান্ত নৈতিক পরাজয়।


আমেথিতে বংশপরম্পরায় গান্ধিরা জিতে আসছেন ১৯৮০ সাল থেকে। প্রথমে সঞ্জয় গান্ধি, পরে রাজীব গান্ধি এবং ১৯৯৯ সালে সােনিয়া গান্ধির পর ২০০৪ সাল থেকে কেন্দ্রে জিতে আসছেন রাহুল গান্ধি।

বিজেপি এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রে একবারই জিতেছে, ১৯৯৮ সালে। ফলে রাহুলের আমেথিতে হার শুধুমাত্র একটি পরিসংখ্যান হয়ে থেমে থাকছে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই ফল ভারতীয় রাজনীতিতে একটি প্রতীকি পরিবর্তনও হতে চলেছে।

গতবার উত্তরপ্রদেশে মাত্র দুটি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। একটি রাহুল, অন্যটি সােনিয়া গান্ধি। আমেথি খুইয়ে ওয়েনাড়ে জয় আসলে রাহুলের কাছে নাকের বদলে নরুন পেলাম ধরনের ব্যাপার হবে।