মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য পেল ছত্তিশগড় পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় পুলিশকর্তাদের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করলেন ১৬ জন মাওবাদী। সূত্রের খবর, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে উঁচু পদের কোনও নেতা নেই। তাঁদের বেশিরভাগই নিচুতলার বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য। ছত্তিশগড় পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদেরও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে প্রাথমিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর পরে সরকারি নীতি অনুসারে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার রবিনসন গুড়িয়া বলেন, ‘যে ১৬ জন আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁরা মাওবাদীদের আদর্শ দেখে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। নিরীহ আদিবাসীদের উপর মাওবাদীদের অত্যাচার নিয়েও বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন আত্মসমর্পণকারীরা। নিচুতলার কর্মী হলেও মাওবাদী সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন তাঁরা। মাওবাদীদের সশস্ত্র বাহিনীকে খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির বিষয়ে মাওবাদীদের খবর পৌঁছে দিতেন তাঁরা।’
২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মাওবাদীদের সমাজের মূল স্ত্রোতে ফেরাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার। ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি। আর ২০২৪ সালে ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি চালুক করে ছত্তিশগড় পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই কয়েকমাস আগে ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’ ঘোষণা করেছেন। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক সহায়তা এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করার মতো নানা বিষয় রয়েছে ওই প্রকল্পে।