সুপ্রিম কোর্টে এনআরসি নিয়ে মামলা চলায় অসমে হচ্ছে না এসআইআর

বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ নিবিড় সংশোধন হলেও অসমে হচ্ছে না এসআইআর। সোমবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানান দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে আগামী মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বিধানসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই একই সময়ে নির্বাচন হবে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে। তবে অসমকে আপাতত এসআইআর-এর তালিকা থেকে বাদ রেখেছে কমিশন।

সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, অসমের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে এসআইআর করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে অসমে এনআরসি প্রায় শেষের পথে। এছাড়া উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যের নিজস্ব বিধানও রয়েছে। তাই এসআইআর প্রক্রিয়া থেকে অসমকে বাদ রাখা হয়েছে।‘  জ্ঞানেশ কুমার জানান, ‘অসমের জন্য আলাদা নির্দেশিকা জারি করা হবে এবং পৃথক তারিখ ঘোষণা করা হবে।‘

অসমের মুখ্য নির্বাচনী দপ্তর সূত্রে খবর, ওই রাজ্যে এসআইআর করার ক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যা হল রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভার সীমানা নির্ধারণের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ২০০১-এর জনগণনা রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০২৩-এ অসমে আসনের সীমানা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। সীমানা পুনঃ নির্ধারণ করা হলেও বুথ ভিত্তির ভোটার তালিকা এখনও তৈরি করা হয়নি। তবে অসমের বাসিন্দারা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে গত দু’দশক ধরে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি তৈরির কাজ চলছে। সেই কাজে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অসমের বিভিন্ন আদালতে চলছে মামলা।


২০১৯ সালে খসড়া জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা ড্রাফ্ট এনআরসি রোল প্রকাশিত হয়েছিল। ‌তাতে ৩ কোটি ১১ লাখ মানুষের নাম ছিল। অন্যদিকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করে ১৯ লাখ মানুষকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে তা কমে হয় নয় লাখের মতো। তবে এই সংখ্যা নিয়ে অসমের বিজেপি সরকারের আপত্তি রয়েছে। বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার।