রাজ–উদ্ধবের পাশে শরদ পওয়ার, কারচুপির প্রতিবাদে এক মঞ্চে বিরোধীরা

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মারাঠি রাজনীতিতে নতুন ঐক্যের ডাক। তিন প্রভাবশালী নেতা— উদ্ধব ঠাকরে, রাজ ঠাকরে এবং শরদ পওয়ার এ বার একই মঞ্চে। শনিবার রাজধানী মুম্বইয়ে তাঁরা একত্রিত হচ্ছেন ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে। কংগ্রেস, পিডব্লিউপি এবং বাম নেতারাও থাকবেন সেই ঐতিহাসিক প্রতিবাদ মিছিলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই জোট মহাবিকাশ আঘাড়ীর নতুন রূপ হতে পারে এবং বৃহন্মুম্বই পুরভোটের আগে শাসকজোটের মাথাব্যথা বাড়িয়ে দেবে।

বৃহস্পতিবার ওয়াইবি চহ্বাণ সেন্টারে এই কর্মসূচির প্রস্তুতি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরে ছাড়াও কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি হর্ষবর্ধন সপকাল, পিডব্লিউপি নেতা জয়ন্ত পাতিল ও বাম নেতারা। বৈঠক শেষে ঘোষণা করা হয়, শনিবার দক্ষিণ মুম্বইয়ের ফ্যাশন স্ট্রিট থেকে একটি বিরাট মিছিল যাবে বৃহন্মুম্বই পুরসভার সদর দপ্তর পর্যন্ত।

বিরোধী জোটের দাবি, পুরভোটের আগে প্রায় ৯৬ লক্ষ ভুয়ো নাম যুক্ত করা হয়েছে ভোটার তালিকায়। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ মদতে ‘ভোটচুরির নীল নকশা’ তৈরি করা হয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র সচিন সাওয়ন্ত বলেন, ‘এটি শুধু প্রশাসনিক নয়, গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। ভোটার তালিকা থেকে প্রকৃত নাগরিকদের বাদ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানো হচ্ছে।’


এই পরিস্থিতিতে শরদ পওয়ার, রাজ ও উদ্ধবের এই ঐক্য মারাঠি রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ষাটের দশকে বালাসাহেব ঠাকরে যে ‘শিবসেনা’ গড়েছিলেন, তার নাম, প্রতীক ও ভোটব্যাঙ্ক আজ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার দখলে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিপ্রেক্ষিতে তুতো ভাই রাজ–উদ্ধবের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের পাশে শরদ পওয়ারের দাঁড়ানো এক নতুন রাজনৈতিক বার্তা— মারাঠি স্বার্থরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

এক বিশ্লেষকের ভাষায়, ‘বৃহন্মুম্বই পুরভোটের আগে এই বিরোধী সংহতি বিজেপি–শিন্ডে বনাম শিবসেনা–এনসিপি (অজিত) জোটের জন্য বড় সংকেত। মারাঠি রাজনীতির মানচিত্রে নতুন ইতিহাস লেখা শুরু হয়েছে।’