মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। এবার মমতার এই মন্তব্যকেই সমর্থন জানালেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ পীঠের ৪৬তম শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। মমতার মতোই তিনিও উত্তরপ্রদেশ সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, মহাকুম্ভে চূড়ান্ত অব্যবস্থা চোখে পড়েছে।
মহাকুম্ভ মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তার মধ্যে সবথেকে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মৌনী অমাবস্যা তিথিতে। এ দিন পদপিষ্টের ঘটনায় প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, এই ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫ জন। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, মৃতের সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। সম্প্রতি মহাকুম্ভে যাওয়ার ট্রেন ধরার জন্য নয়াদিল্লি স্টেশনে জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। ভিড় সামাল দিতে না পাড়ায় সেখানে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হলেও তা মানতে চাননি বিরোধীরা। মৃতের সংখ্যা যে আরও বেশি হওয়ার কথা তা অনুমান করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরাও।
এছাড়াও মহাকুম্ভে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনায় পুণ্যার্থী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। এসব ঘটনার আবহে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যটি করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘মহাকুম্ভের কথা বলে লাভ নেই। ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে।’ এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে মমতার এই মন্তব্যকে সমর্থন জানালেন শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি প্রশ্ন তোলেন মহাকুম্ভের অব্যবস্থা নিয়ে। তাঁর কথায়, ‘৩০০ কিলোমিটার লম্বা যানজট। এটা অব্যবস্থা নয় তো কী? পুণ্যার্থীদের জিনিসপত্র নিয়ে ২৫-৩০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছে। পুণ্যস্নান ভেবে পুণ্যার্থীরা যেখানে ডুব দিয়েছেন সেখানে অপরিষ্কার জল মিশেছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই জল স্নানের যোগ্যই নয়। অথচ সেখানেই কোটি কোটি মানুষকে স্নান করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সুতরাং জল পরিশুদ্ধ করা উচিত ছিল। ১২ বছর অন্তর মহাকুম্ভ হয়, তাহলে কেন আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?’
শঙ্করাচার্যের দাবি, যখন জানা গেল বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন অথচ জায়গা কম, সেক্ষেত্রে বিকল্প ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন ছিল।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়