শুল্কে মার্কিন স্থগিতাদেশে চাঙ্গা শেয়ার বাজার 

ট্রাম্পের ৯০ দিনের নীতির প্রভাব পড়লো শেয়ার বাজারে। যেখানে গত সোমবার শেয়ার বাজারে ধ্বস নেমেছিল, সেখান থেকে কয়েকদিনের গুমোট ভাব কাটিয়ে শুক্রবার ঊর্ধ্বমুখী সেনসেক্স সঙ্গে চাঙ্গা নিফটিও। ৭ এপ্রিল ধসের পর ১১ এপ্রিল মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে শেয়ার বাজার। শুক্রবার  সকাল ৯.১৫ মিনিটে দালাল স্ট্রিট খুলতেই দেখা যায় ১২০০ পয়েন্ট উঠেছে সেনসেক্স। বিএসই সেনসেক্স ১.৫৮ শতাংশ বেড়ে ৭৫,০০৫.৯১ দিয়ে শুরু হয়। চাঙ্গা হয়ে নিফটি পৌঁছে যায়  ১.৬৯ শতাংশ থেকে উঠে ২২,৭৭৭.৪৫-এ । সোমবার শুরুতে টিসিএস-সহ আইটি সেক্টরের স্টকের দাম নিম্নমুখী থাকলেও একাধিক ফার্মা সংস্থার স্টক ঊর্ধ্বমুখী।

সোমবার একধাক্কায় প্রায় ৪ হাজার পয়েন্ট পড়ে গিয়েছিল সেনসেক্স। কিন্তু পরের দিন রক্তক্ষরণ থেকে সেরে ওঠার ইঙ্গিত দেয় শেয়ার বাজার। মঙ্গলবার বাজার খোলার পর হাজার পয়েন্ট উত্থান হয় সূচকে। উন্নতি ঘটে নিফটিতেও। কেবল ভারত নয়, এশিয়ার বহু দেশের বাজারের ক্ষতেই মলম পড়ে। এরপর বুধবার নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প জানান, শুল্ক ঘোষণার পরে ৭৫টিরও বেশি দেশ যোগাযোগ করেছে আমেরিকার সঙ্গে। পালটা শুল্ক চাপায়নি তারা। তাই আগামী ৯০ দিন ওই দেশগুলির উপরে বর্ধিত শুল্কহার কার্যকর হবে না।

ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় স্বভাবতই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে ভারত। গত ২ এপ্রিল ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল আমেরিকা। আপাতত সেই কর গুণতে হবে না ভারতকে। আর এরপরই ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে নতুন করে চাঙ্গা হচ্ছে শেয়ার বাজার। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যারা এই বাজারে শেয়ার কিনে বিক্রি করবেন তারা অব্যশই লাভের মুখ দেখবেন।