শস্যের গোড়া পোড়ানো বন্ধে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দিল্লিতে দূষণ বেড়ে চলায় কৃষকদের শস্যের গোড়া পোড়ানো নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই মন্তব্য করেছেন, ‘কয়েকজনকে জেলে পাঠিয়ে দিন। তাহলেই বাকিরা শিক্ষা পাবে।’ তিনি আরও বলেন, এটি নিয়মিত কোনও ব্যবস্থা নয়, কিন্তু কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা ছড়াতে এমন পদক্ষেপ করা জরুরি। বিচারপতির মতে, ‘কৃষকেরা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার মানে এই নয় যে পরিবেশ ধ্বংস করতে দেব।’

আদালতের বক্তব্য, শস্যের গোড়া পোড়ানোর ফলে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে দূষণ মারাত্মক আকার নিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পরিবেশ রক্ষায় কৃষকদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। আদালত বলেছে, ‘যদি সত্যিই পরিবেশ রক্ষা করতে চান, তবে কিছু লোককে জেলে পাঠান।’

অন্যদিকে পাঞ্জাব সরকারের পক্ষে আদালতে উপস্থিত আইনজীবী জানান, বিগত তিন বছরে শস্য পোড়ানোর ঘটনা কিছুটা কমেছে। এই বছর আরও কমবে বলেই আশা। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবে ধৃতদের মধ্যে অনেকে ছোট কৃষক, যাঁদের জমিও খুব কম। জেলে পাঠালে তাঁদের পরিবার বিপদে পড়বে।


প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা জানি এটি সাধারণ নিয়ম নয়। কিন্তু করা বার্তা দিতে হলে এমন পদক্ষেপ দরকার।’ আদালতের পরামর্শ, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের বিকল্প উপায় শিখিয়ে দিতে হবে, শস্যের গোড়া জ্বালানোর বদলে সেগুলো জৈব জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এমন কথা সংবাদপত্রে পড়েছেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।

প্রতি বছর ফসল কাটার পর পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানো হয়, যা দিল্লির দূষণের অন্যতম বড় কারণ। বহু বছর ধরেই এই সমস্যা চলছে। আদালত জানিয়েছে, এটি আর শুধু আলোচনা করে ছেড়ে দেওয়ার বিষয় নয়, এখন সময় এসেছে কার্যকরী পদক্ষেপ করার।