কেন্দ্রের ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে একাধিক অনিয়ম

প্রতীকী চিত্র

ভারত সরকারের মেগা প্রকল্প জল জীবন মিশন। এই প্রকল্পে ধরা পড়েছে নানারকম অনিয়ম। জানা গিয়েছে, প্রকল্পের খরচ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। অর্থ ও ব্যয় বিষয়ক সচিবের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত ‘নোট’ বা সূত্র পাওয়া গিয়েছে। এর পর একাধিক রাজ্যে নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক। মোট ৭ রাজ্যে এই নিয়ম ধরা পড়েছে, যার মধ্যে ৫ রাজ্য বিজেপি শাসিত। জল জীবন মিশন প্রকল্পে অনিয়মের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তালিকায় বাংলার নাম নেই।

বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় মাপের প্রকল্প জল জীবন মিশন। দেশের ১৩৫টি জেলায় ১৩৮ প্রকল্প খতিয়ে দেখছেন মন্ত্রকের ৯৯জন নোডাল অফিসার। ওই ১৩৫ জেলার মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ , গুজরাত, ওড়িশা, তামিলনাড়ু , কেরল এবং কর্নাটক । এই ৭ রাজ্যের মধ্যে ৫ রাজ্য বিজেপি শাসিত। এছাড়া তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় রয়েছে ডিএমকে, কর্নাটকে কংগ্রেস এবং কেরলে সিপিএম। সবথেকে বেশি সংখ্যক, প্রায় ২৮টি প্রকল্প খতিয়ে দেখা হবে মধ্যপ্রদেশে।

তবে জল জীবন মিশন প্রকল্পে অনিয়মের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের নাম উঠে এলেও কেন্দ্রের তালিকায় বাংলার নাম নেই। এই প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল বিহারে। বিহারের অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্র। বিজেপি সমর্থিত নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বহু প্রকল্পের বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই। সে সবই থমকে রয়েছে খাতায়-কলমে।


কয়েক মাস আগে কেন্দ্রের ব্যয় বিষয়ক সচিব এই প্রকল্পের বরাদ্দ ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন। বলা হয়েছে, বহু জায়গায় অতিরিক্ত খরচ দেখানো হয়েছে। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় মঞ্জুর করা হবে না। একই মন্তব্য করে রিপোর্ট দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। তার ভিত্তিতেই ক্যাবিনেট সচিব সোমবার জলশক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যগুলিতে টিম পাঠিয়ে প্রকল্পের ব্যয় এবং আনুষঙ্গিক বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।

জল জীবন মিশন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বহু প্রচারিত প্রকল্পগুলির একটি। ২০২৮ সালের মধ্যে দেশের সব ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। দেশের প্রতিটি গ্রামের পরিবারে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই ভারত সরকার এই প্রকল্প গ্রহণ করে। বিশেষত খরাপ্রবণ এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য জলশক্তি অভিযানের সূচনা হয় ২০২৩ সালে। ২০২৪ সালেও এই অভিযান চালানো হয়। সেই বছর এর মূল ভাবনা হয়, ‘নারীশক্তি ও জলশক্তি’।