পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা এই চুক্তি সম্পর্কে অবহিত এবং এর প্রভাব কী হতে পারে, তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে বুধবার। ওই দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর দুই দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা একটি কৌশলগত ও পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ একমত হয়েছে, যদি কোনও একটি দেশের উপর আক্রমণ হয়, তাহলে সেটি অন্য দেশের উপরও আঘাত হিসেবে ধরা হবে। উভয় দেশ একে অপরকে প্রতিরক্ষা দেবে। ভারতের দৃষ্টিতে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বারবার উত্তেজনার জায়গায় পৌঁছেছে, বিশেষ করে পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর যখন ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোতে আঘাত করে।
সেই সময় ভারত স্পষ্ট জানিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কড়া সামরিক জবাব দেওয়া হবে। এই পটভূমিতে পাকিস্তান যদি সৌদি আরবের মতো প্রভাবশালী দেশের সামরিক সমর্থন পায়, তাহলে সেটা ভারতের কৌশলগত স্বার্থের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। যদিও সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, তবুও এই চুক্তি ভবিষ্যতে কিছু জটিল পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ভারত বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বাগ্রে রেখে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।’ তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার দিকটিও বিবেচনায় রাখা হবে। সব মিলিয়ে, পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক পরিবেশে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ভারত এখন কৌশলগতভাবে ভাবনাচিন্তা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।