উত্তপ্ত সম্ভলে ঢুকতে বাধা সমাজবাদী পার্টিকে, ক্ষুব্ধ অখিলেশ

সম্ভলের শাহী জামা মসজিদে সমীক্ষা আপাতত স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ঘটনার জেরে এখনও থমথমে সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ এলাকা। এরই মধ্যে শনিবার সেখানে যান সমাজবাদী পার্টির ১৫ সদস্য়ের একটি দল। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের বাধার কারণে তাঁরা  এলাকায় ঢুকতে পারেনি । এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।

গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষার কাজ চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। জখম হন বহু পুলিশ কর্মী। নাম জড়ায় সমাজবাদী পার্টির নেতার।সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে জেলা প্রশাসনকে সম্ভলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। এরপরেই জেলাশাসক জানিয়ে দেন, ‘ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত বহিরাগত, কোনও সংস্থা, সংগঠন বা জনপ্রতিনিধি বিনা অনুমতিতে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।’ কিন্তু শনিবার সকালেই সমাজবাদী পার্টির ১৫ সদস্যের একটি দল ওই এলাকায় পৌঁছয়। তাঁদের প্রবেশ করতে না দেওয়ায় স্বভাবতই ক্ষোভে ফেটে পরেন অখিলেশ ।

শাসক দলকে আক্রমণ করে অখিলেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘এভাবে এলাকায় ঢুকতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সরকারের ব্যর্থতার পরিচয়। সরকার যে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ, প্রশাসন যে ব্যর্থ, তা স্পষ্ট। যদি এ ব্য়াপারে আগেই সরকার অবগত হত, স্লোগান দেওয়া লোকজন ও হিংসা  বাধানো লোকজনকে নিষিদ্ধ করত, তাহলে আজ এই পরিস্থিতি দেখতে হত না।’


উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা মাতা প্রসাদ পাণ্ডে শনিবারের ১৫ সদস্যের দলে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রশাসনের তরফে আমাদের নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু লিখিত কোনও নির্দেশ আমরা পাইনি। পেলে যেতাম না ওখানে।’

এর আগে পুলিশের তরফে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়া-উর-রহমান বার্কের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পুলিশের সুপার কৃষণ কুমার জানিয়েছিলেন, জিয়াউরের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই অশান্তি ছড়ায়। ড্রোনে নজরদারি চালিয়ে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়।