দিল্লির বিস্ফোরণ নিয়ে কোনও রাজনৈতিক বিভাজন নয়, দেশের সামগ্রিক স্বার্থকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। মঙ্গলবার এমনই বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেতা ও প্ৰাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমান খুরশিদ। এই বিস্ফোরণের তদন্ত এগোতে থাকায় তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা উচিত নয়। পরিস্থিতি সংবেদনশীল। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে যা দরকার, সেটাই বলা উচিত, তার বেশি কিছু নয়।’
সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর নানা রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে খুরশিদের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘ঘটনাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু এমন সময়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করার বদলে প্রশাসন ও তদন্তকারীদের কাজ করতে দেওয়া জরুরি।’ তিনি আরও জানান, দেশের নিরাপত্তা–রক্ষায় বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোই এখন সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। তাঁর কথায়, ‘দিল্লির মতো জায়গায় এমন ঘটনা আতঙ্ক তৈরি করে। তাই তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অনুমানভিত্তিক আলোচনা বা রাজনৈতিক আক্রমণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।’
কংগ্রেস নেতার দাবি, তদন্তকারীদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য না আসা পর্যন্ত সব পক্ষেরই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কোনও রাজনৈতিক দলাদলি নয়। বরং সম্মিলিত প্রয়াসই দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে। এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। খুরশিদ বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই কোনও দলের লড়াই নয়। এটা গোটা দেশের লড়াই। তাই রাজনীতি নয়, সংযমই এখন একমাত্র উপায়।’
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, দিল্লি পুলিশ ও ফরেনসিক দল দ্রুত অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সরকার জানিয়েছে, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতি মিলিয়ে ঘটনার মূলসূত্র খোঁজা হচ্ছে। খুরশিদের মতে, ‘সত্য সামনে এলেই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে, কারা এর পিছনে রয়েছে।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তদন্তে কোনও গাফিলতি হবে না এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।