ঘুষ মামলায় গ্রেপ্তার পাঞ্জাবের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক। রূপনগর রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল হরচরণ সিং ভল্লরকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। কৃষ্ণ নামে তাঁর এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত আইপিএস অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ কোটি নগদ, গ্যারাজে অডি, মার্সিডিজ, ড্রয়ারে দামি দামি ঘড়ি, বহু মূল্যের সোনার গয়না দেখতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। ২০০৯ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার হরচরণ। ডিআইজি পদে যোগ দেওয়ার আগে হওয়ার আগে পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
সূত্রের দাবি, কয়েকদিন আগে হরচরণ সিং ভল্লরের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, ৮ লক্ষ টাকা না দিলে মিথ্যে মামলায় তাঁকে ফাঁসানার হুমকি দিচ্ছেন ওই অফিসার। বৃহস্পতিবার মামলাটি নথিবদ্ধ করে সিবিআই। সিবিআইয়ের একটি দল মোহালিতে হরচরণের অফিসে হানা দেয়। ওই অফিস থেকে ধরা হয় তাঁকে। গ্রেপ্তারির পর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই।
সিবিআই জানিয়েছে, ওই আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ প্রায় ৫ কোটি টাকা, দেড় কেজি সোনা এবং গয়না, বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তির নথি, মার্সিডিজ এবং অডি গাড়ির চাবি, ২২টি দামি হাতঘড়ি, আমদানি করা ৪০ লিটার মদ, লকারের চাবি উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে।
অভিযুক্তদের ধরতে রীতিমতো ফাঁদ পাতেন তদন্তকারীরা। ভল্লারের কথা মতো সহযোগী কৃষ্ণকে টাকা দিতে পৌঁছন আকাশ। সেই সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন কৃষ্ণ। পরে তাঁকে জেরা করে ভল্লারের নাম উঠে আসে। মোহালির পাশাপাশি রূপনগর ও চণ্ডীগড়ে থাকা হরচরণের বাড়িগুলিতে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। অন্যদিকে, কৃষ্ণর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও নগদ ২১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের মতে, উদ্ধার হওয়া নগদ ও সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।