পারিবারিক অশান্তি নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু যাদব

বিহারের ভোটের ফলাফল বেরনোর পর থেকেই প্রকাশ্যে আসতে থাকে লালু প্রসাদ যাদবের পারিবারিক কোন্দল। আরজেডি নেতা তথা তেজস্বীর বিরুদ্ধে সরব হন তাঁর বোন রোহিনী। বাড়ি ছাড়েন তিনি। এছাড়া আরজেডি প্রধানের আরও তিন মেয়ে রাজলক্ষ্মী, রাগিনী এবং চন্দাও বাড়ি ছাড়েন বলে খবর।

এই পরিস্থিতিতে প্রথমবার মুখ খুললেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু যাদব। সূত্রের খবর, দলের নেতাদের লালু জানিয়েছেন, পরিবারের গোলমালের বিষয়টি তিনি নিজে দেখছেন। শনিবার লালুকন্যা রোহিণী যাদব পরিবার এবং রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেন। তার পর এই প্রথম মুখ খুলতে দেখা গেল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, সোমবার  পাটনাতে আরজেডির সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকেই লালু এই কথা বলেন বলে খবর।

লালু জানিয়েছেন, ‘এটি পারিবারিক বিষয় এবং পরিবারের লোকজনই তা মিটিয়ে নেবে। আমি বিষয়টি দেখছি।’ বৈঠকে ছিলেন আরজেডি-র প্রবীণ নেতারা। এছাড়া ছিলেন লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, বড় মেয়ে মিশা ভারতী এবং তেজস্বী যাদবও। বৈঠকে তেজস্বীর প্রশংসা করেন লালু। বিহারের ভোটে ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন বলেও জানান তিনি।


উল্লেখ্য, বিহারে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই আরজেডি নেতা লালু প্রসাদের পরিবারে ফাটল দেখা যায়। শনিবার রাজনীতি এবং পরিবার ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন রোহিনী। ভাই তেজস্বী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় যাদব, রামিজ নিমাত খানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন লালুকন্যা। তাঁকে মারতে জুতোও তোলা হয়েছিল বলে দাবি রোহিনীর। এর পর থেকেই রাজনৈতিক আঙ্গিনায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে লালুর পরিবার।