আগামী বছর অক্টোবরেই মিলতে পারে মুক্তি, ইঙ্গিত সেরাম কর্তার

সেরাম টিকা (ছবি: SNS Web)

আগামী অক্টোবরে মধ্যেই মিলতে পারে করােনা থেকে মুক্তি। এমনই ইঙ্গিত করলেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা। দেশে জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়ােগের জন্য সরকারের অনুমতি পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফাইজার, ভারত বায়ােটেক-এর মতাে সংস্থাগুলাে। এই দৌড়ে সামিল হয়েছে সেরামও।

এ প্রসঙ্গে আশা প্রকাশ করে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)-র সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেন, আশা করছি, এ মাসের শেষেই জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়ােগের ঘড়পত্র পেয়ে যাব। তবে বৃহত্তর পর্যায়ে প্রয়ােগের ক্ষেত্রে এই ছাড়পত্র পেতে হয়ত একটু সময় লাগবে। তবে দেশের ড্রাগ নিয়ামক যদি অনুমােদন দেয়, তা হলে জানুয়ারির শুরুতেই টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা।

এ প্রসঙ্গে সেরাম কর্তার ইঙ্গিত ২০২১-এর জানুয়ারি থেকে গােটা দেশে করােনার টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হয়ে যাবে। এবং অক্টোবরের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষ টিকা পেয়ে যাঝে বলেই তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। এর সাথে সাথেই তাঁর দাবি, যদি ২০ শতাংশ দেশবাসীকে টিকা দেওয়া যায়, তা হলে এ কর্মসূচিতে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। আশা করছি , আগামী বছরের সেপ্টেম্বর অক্টোবরে মধ্যে পর্যাপ্ত টিকার সরবরাহ থাকবে। এবং আবার আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব।


উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই যে সংস্থাগুলাে টিকার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়ােগের আবেদন জানিয়েছে, তাদের সমস্ত নথি পরীক্ষা করছে সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি)। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই এসইসি সেরামের কাছে ভারতে তাদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কিত রিপাের্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

এরইমধ্যে পুনাওয়ালার দাবি, তাদের সংস্থা প্রচুর পরিমাণে টিকা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকালের পাশাপাশি বাজারেও যাতে সেরামের টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে মেলে, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছেন তারা। টিকা তৈরির জন্য নােভাাক্স-এর সঙ্গেও চুক্তি করেছে সেরাম। নােভাভ্যান্স যাতে টিকা তৈরি করতে পারে তাই ২০২১-এর প্রথম তিন মাসের মধ্যেই তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে চাইছে সেরাম।