আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গা এখনও অভ্যন্তরীন সংঘাতে দীর্ণ। গোটা মহাদেশ জুড়ে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধের ফলে বিদেশি শক্তি তার সুযোগ নিচ্ছে। আফ্রিকার পিছিয়ে পড়া দেশগুলিকে পশ্চিমি দেশগুলি নানানভাবে সাহায্য করছে নিজেদের লাভ খোঁজার জন্য। আফ্রিকায় ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠছে চিন। এই পরিস্থিতিতে ২২ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মরক্কো সফরে যাচ্ছেন। তিনি টাটার অস্ত্র কারখানার উদ্বোধন করতে চলেছেন সেখানে।
এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মরক্কো সফরে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই সফর দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান, প্রশিক্ষণ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগের পথ আরও সুগম হবে বলে ধারণা করা যায়। ভারত-পাক সংঘাতের পর ভারত, প্রতিরক্ষা বিষয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে। আগে ভারত বিদেশি অস্ত্রের উপর নির্ভর করত এবং এই পরনির্ভরতা থেকে শিক্ষা পেয়ে এখন এই দেশ তেজাস, ব্রহ্মস ইত্যাদি অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছে। রাজনাথ সিং মরক্কোর বেরশিদে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম ম্যারোক-এর নতুন কারখানা উদ্বোধন করবেন। এই কারখানায় তৈরি করা হবে হুইলড আর্মার্ড প্ল্যাটফর্ম বা সাঁজোয়া গাড়ি। আফ্রিকায় এটাই ভারতের প্রথম অস্ত্র কারখানা হতে চলেছে।
মরক্কো সফর চলাকালীন, মরক্কোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেললতিফ লৌদিয়ির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজনাথ। সেই বৈঠকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে ঘানা এবং নামিবিয়াসহ পাঁচটি দেশে সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর এই সফর থেকে বোঝা যায় যে, জোট নিরপেক্ষতা এবং অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির সঙ্গেসঙ্গে ভারত আফ্রিকা সংক্রান্ত নীতি নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে।