স্কুল কামাই করে কোচিং-এ পড়ে বোর্ডের পরীক্ষায় বসা যাবে না

ফাঁকা স্কুল। প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রাজস্থান হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে দশম অথবা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় বসতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির মাপকাঠি হতে হবে ৭৫ শতাংশ। শুধুমাত্র পরীক্ষায় বসার জন্য স্কুলে নাম নথিভুক্ত করে কোচিং ক্লাসে গিয়ে পড়াশুনো করা যাবে না। স্কুলে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থেকে বোর্ডের পরীক্ষায় বসা যাবে না বলে স্পষ্ট জানালো রাজস্থান হাইকোর্ট।

রাজস্থানের দুই প্রধান শিক্ষা পর্ষদ ‘রাজস্থান বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন’ (আরবিএসই) ও ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন’ (সিবিএসই)-কে রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে কোনো ছাত্রছাত্রী স্কুল কামাই করে কোচিং-এ গিয়ে পড়াশুনো করছে এমনটা জানা গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। হাইকোর্ট এমনও নির্দেশ দিয়েছে যে, শুধু পড়ুয়া নয়, সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও নিতে হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা।

ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা রাজস্থানে আসে। কোটা শহরে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন কোচিং রয়েছে যেখানে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয় এবং স্কুলের তুলনায় কোচিং-এর পড়াশুনোর উপরই তাঁরা জোর দেয়। অনেক ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষও পড়ুয়াদের অনুপস্থিতি নিয়ে খুব একটা উদ্বেগ প্রকাশ করে না। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।


হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ মেহতা এবং বিচারপতি অনুপকুমার ধাঁড়ের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, শিক্ষা পর্ষদ এবং রাজস্থান সরকারকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করতে হবে। এই তদন্তকারী দলের সদস্যদের স্কুলে স্কুলে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করতে হবে। গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া কোনো ছাত্রছাত্রী অনুপস্থিত থাকলে সেই পড়ুয়া এবং ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। হাইকোর্ট থেকে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলিতেও সারপ্রাইজ ভিজিটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলে অনুপস্থিত অথচ কোচিং ক্লাসে উপস্থিত রয়েছে জানা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে পদেক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।