ভারতীয় রেলের সময়ানুবর্তিতা নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে। শুধু যাত্রীবাহী নয়, পণ্যবাহী ট্রেন কিংবা মালগাড়ির ক্ষেত্রেও অনেক সময় অতিরিক্ত দেরি হয়। ‘ডেডিকেটেড পণ্যবাহী করিডর’-এর কিছু অংশে মালগাড়ি চলাচল শুরু হওয়ার পর এই সংক্রান্ত অভিযোগ কিছুটা কমেছে। এবার রীতিমতো নিখুঁত সময় মেনে পণ্য পরিবহণ করবে রেল। সেই মতোই ‘ফার্স্ট অ্যাসিয়োর্ড ট্রানজিট টাইম কন্টেনার ট্রেন’ চালু হয়েছে গত ১ অক্টোবর থেকে। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবেই বেছে নেওয়া হয়েছে দিল্লি-কলকাতা রুটকে। রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই রুটেই প্রথমবার সময় নির্ধারিত পণ্যবাহী ট্রেন চালানো হবে। দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছতে সময় নেবে ঠিক ১২০ ঘণ্টা।
দিল্লির তুঘলকাবাদ টার্মিনাল থেকে পণ্যবাহী ট্রেন আগ্রা ও কানপুর হয়ে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়ার শালিমারে পৌঁছবে ১২০ ঘণ্টায়। এই বিশেষ পণ্যবাহী ট্রেন চালানো হবে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন, প্রতি বুধবার এবং শনিবার। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘কন্টেনার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডে’র (কনকর) মাধ্যমেই যাবতীয় পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এভাবে পণ্য পরিবহণে যেমন গতি বাড়বে তেমনই ডোর-টু-ডোর ‘কনসাইনমেন্ট’ পেতে অযথা বিলম্বও হবে না। দিল্লি-কলকাতা রুটে পাইলট প্রজেক্টে সাড়া মিললে দেশের অন্যত্রও পর্যায় ভিত্তিতে এই ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চালু করা হবে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে সারা দেশে মাত্র ১ হাজার ৫৯১ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করেছিল রেল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬১৫ মিলিয়ন টন। এইভাবে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা ঠিকঠাক চললে ভবিষ্যতে রেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।