রাহুল-শচীন সাক্ষাৎ, বৈঠকে প্রিয়াঙ্কাও

অশোক গেহলট, রাহুল গান্ধি ও শচীন পাইলট। (File Photo: IANS)

ছেলের গোঁসা ভাঙার জল্পনা ছিলই। সেইমত আপাতত ক্ষোভ-বিক্ষোভ ভুলে ঘরের ছেলে ফিরলেন ঘরে। অবশেষে সোমবার রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করলেন শচীন পাইলট। এ দিন সকাল থেকেই এই সাক্ষাতের সম্ভাবনার কথা ছড়িয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমে। এরপর বেলার দিকেই এই বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে।

আগামী ১৪ অগস্ট রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে এই ঘটনা বরফ গলার ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠক নিয়ে এদিন সকাল থেকেই গুঞ্জন ছিল। জানা গিয়েছে, রাহুল-শচীন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও।

তবে এই বৈঠকের পর রাজস্থান কংগ্রেসের ফাটল কিছুটা হলেও মেরামত করা গেল বলে মনে করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, এ বৈঠকের কারিগর প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানিয়েছে, দিন পনেরো আগেই দিল্লিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শচীন পাইলট। এরপর দলেও এ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।


প্রসঙ্গত, জুন মাসে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে মনোমালিণ্যের জন্য বিদ্রোহী শচীন দিল্লি চলে আসেন। তারপর থেকে অনেক জলঘোলা হয় রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার টিকিয়ে রাখতে। এ দিনের শচীন-রাহুল বৈঠক সেই দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ আগামী ১৪ অগস্ট রাজস্থান বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। তার আগে দলের ফাটল মেরামত কংগ্রেসের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

যদিও, দিল্লিতে সমঝোতা হলেও রাজ্যের নেতারা ‘বিশ্বাসঘাতক’ শচীনকে কতটা জায়গা ছাড়নে তা এখন বড় প্রশ্ন। কারণ রবিবারই জয়সলমিরে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে শচীনদের নিয়ে সরব হয় গেহলটপন্থীরা। রাজ্য কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, তিনি চান না বিদ্রোহীদের আর ফেরানো হোক। কিন্তু দিল্লির সমঝোতার পর তাঁদের মনোভাব কী হয় সেটাই দেখার।