মার্কিন ভিসা প্রসঙ্গে মোদীকে দুর্বল বলে কটাক্ষ রাহুলের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

এইচ-১বি ভিসায় ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশিকায় সঙ্কটে পড়েছেন ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীরা। নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘দুর্বল’ বলে কটাক্ষ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এবার থেকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করতে গেলে মার্কিন সংস্থাগুলিকে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে বছরে এক লক্ষ মার্কিন ডলার নেবে ট্রাম্প সরকার।ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৮ লক্ষ টাকা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসার অধীনে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত ভারতীয় কর্মীদের সংখ্যা সবেচেয়ে বেশি। সুবিধাভোগীদের মধ্যে ভারতীয়ের সংখ্যা প্রায় ৭১ শতাংশ।

ভিসার ক্ষেত্রে এই নতুন নির্দেশ নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর বদলে আবার ‘আত্মনির্ভর ভারতের বুলি আওড়াচ্ছেন’ মোদী, এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের। শনিবার নরেন্দ্র মোদীকে ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল এই ৭১ শতাংশ ভারতীয় কর্মীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘আমি আবার বলছি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দুর্বল।’ এক্ষেত্রে আবার শব্দটি রাহুল লেখেন ২০১৭ সালের একটি পোস্টের ভিত্তিতে। আমেরিকায় ট্রাম্পের প্রথম শাসনকালেও ভিসা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। তখনও রাহুল একটি পোস্টে লিখেছিলেন ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী দুর্বল।’ পাশাপাশি সেই সময় কাশ্মীরের আগে ‘অ্যাডমিনিসট্রেটেড’ শব্দ ব্যবহার করেছিল মার্কিন প্রশাসন। কোনও আপত্তি না-জানিয়ে তা গ্রহণ করেছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এই দুই ঘটনা উল্লেখ করে রাহুল পোস্টে ওই মন্তব্য করেছিলেন।

রাহুলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, ‘আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ফোনের পরেই ভারতীয়রা রিটার্ন গিফ্ট-এ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। আপনার ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগানের বার্থ ডে রিটার্ন গিফ্ট এসে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিদেশনীতি নিয়ে মোদী শুধু প্রচার করে গিয়েছেন। বিদেশনীতির অর্থ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা। ভারতকে সামনে তুলে ধরা। তা করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।


কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ সমালোচনায় যোগ দিয়ে লিখেছেন, ‘আমেরিকা সরকারের নয়া ভিসা নীতি ভারতের উজ্জ্বল ও সেরা ভবিষ্যতের মুখে এক বিরাট ধাক্কা।’ এক্স-এ নরেন্দ্র মোদীকে ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’ বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরাও।

তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সুযোগ হিসেবেই দেখছেন নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্ত। তাঁর মতে, ‘এই পদক্ষেপে আমেরিকার ক্ষতি হবে আর ভারতের প্রাপ্তি।’ অমিতাভর মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকার শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে খরা দেখা দেবে। অন্যদিকে গতি আসবে ভারতীয় গবেষণায়। ট্রাম্পের ঘোষণার পরেই এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রতিভার জন্য দরজা বন্ধ করে দিল আমেরিকা।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়