বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার প্রচারে উত্তপ্ত কাটিহার। ঠিক সেই আবহেই সোমবার জনসভায় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা তীব্র ভাষায় কেন্দ্রীয় শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। তাঁর দাবি, ‘আজ কংগ্রেস ও মহাগঠবন্ধন যে লড়াই করছে, তা আসলে সেই লড়াই, যে লড়াই মহাত্মা গাঁধী লড়েছিলেন অন্যায়, দমন আর ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতির বিরুদ্ধে।’
এদিন ভিড়ে ঠাসা সভায় প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেন, ‘দেশে মানুষের অধিকার, সংবিধানের মর্যাদা আর গণতন্ত্রের শক্তিকে খর্ব করার চেষ্টা চলছে। যে শক্তি মানুষকে বিভাজনের পথে ঠেলে দিচ্ছে, ভয় দেখিয়ে জোর করে মত চাপিয়ে দিতে চাইছে। সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি।’ তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, আজকের এই রাজনৈতিক সংগ্রাম সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম, ঠিক যেমন দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে হয়েছিল।
সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ভোট শুধু সরকার বদলানোর জন্য নয়, আপনাদের নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আজ যে শক্তি ভয় দেখাচ্ছে, অন্যায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তাদের কার্যকলাপ বরদাস্ত না করার সময় এসেছে।’
প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেন, যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানে সঙ্কট, কৃষকের দুর্দশা, মূল্যবৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্কট— কোনও ক্ষেত্রেই উন্নতির নামগন্ধ নেই। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘অধিকার কেড়ে নেওয়ার রাজনীতি চলছে। আর যাঁরা প্রশ্ন তোলেন তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে।’
মহাগঠবন্ধনের নেতারা মনে করছেন, প্রিয়াঙ্কার এই কথাবার্তা ভোটে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, কাটিহার ও আশপাশের এলাকায় মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ উল্লেখ করে শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কার এই প্রচার সাধারণ মানুষের আবেগে টান দিয়েছে।
বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটকে সামনে রেখে মহাগঠবন্ধন যতটা আক্রমণাত্মক প্রচার চালাচ্ছে, তাতে কাটিহারে প্রিয়াঙ্কার সভা সেই লড়াইকে আরও উসকে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।