রাম মন্দিরে পৌঁছেই সোজা গর্ভগৃহে চলে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতও। আরতি করেন তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ধ্বজারোহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পতাকাটি ত্রিভুজাকার। আর উচ্চতা ১০ ফুট, দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। তাতে স্বর্ণাভ সূর্যমুখী প্রতীক, ‘ওঁ’ অক্ষর এবং পবিত্র কোবীদার বৃক্ষের ছবি আঁকা রয়েছে। সম্মান, সাহস, ঐক্য ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার বার্তা বহন করাই এর উদ্দেশ্য।
এই উপলক্ষে সোমবার থেকেই দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক ভক্ত অযোধ্যায় ভিড় জমিয়েছেন। মন্দির ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ১০০ টন ফুল দিয়ে সজ্জা করা হয়েছে। শহরজুড়ে উৎসবের আবহ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মোট ৬,৯৭০ জন নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে এটিএস কমান্ডো, এনএসজি স্নাইপার, সাইবার ইউনিট ও প্রযুক্তিগত দলও আছে। প্রতিটি রাস্তা, মন্দির কমপ্লেক্স ও আশপাশের অঞ্চল নজরদারিতে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সপ্তমন্দির, শেশাবতার মন্দির এবং মাতা অন্নপূর্ণা মন্দিরেও ‘দর্শন’ ও পূজা করবেন।
শুভ মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। শ্রীরাম ও মা সীতার বিবাহ পঞ্চমী এবং গুরু তেগ বাহাদুরের শহিদ দিবসের সঙ্গেও যা যুক্ত।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই রামমন্দিরের ভূমি পুজো করেছিলেন। পরে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রাতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবারের পতাকা উত্তোলন সেই অধ্যায়ের চূড়ান্ত পর্ব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।