প্রধানমন্ত্রী মােদি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী : বিচারপতি মিশ্র

নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

প্রধানমন্ত্রী মােদি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী- ঠিক এভাবেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরুণ মিশ্র। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নন, একাধারে তিনি দুরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বও বটে, কারণ তিনি বৃহৎ পরিসরে চিন্তাভাবনা করেন ও দেশের অভ্যন্তরে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করেন।

ভারতীয় জনতা পার্টি ও সমর্থকদের মুখে প্রধানমন্ত্রী মােদির স্তুতি শুনতে পাওয়া গেলেও প্রথমবার দেশের শীর্ষ আদালতের কোনও বিচারপতির গলায় প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি শুনতে পাওয়া গেল।

বিচারপতি মিশ্র জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত একজন দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নির্দেশক। তাঁর চিন্তা-ভাবনার পরিধি বৃহৎ পরিসরে, আর তিনি স্থানীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেন।’


ইন্টারন্যাশানাল জুডিশিয়াল কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়েও বিচারপতি অরুণ মিশ্র কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মােদি ও আইনমন্ত্রী দু’জনে মিলে দেশের প্রায় ১৫০০টি বিলুপ্তপ্রায় আইনকে ফের কার্যকরী করে তুলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মােদির নেতৃত্বে ভারতবর্ষ এখন বিশ্বদরবারে সমাদৃত। সামাজিক পরিবর্তনের নিরিখে বিচারব্যবস্থার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে বিচারব্যবস্থা একাধিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়, যাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থা গঠনে বিচার ব্যবস্থা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। প্রধানমন্ত্রী মােদিও হাজির ছিলেন। বিশ্বের কুড়িটি দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা সম্মেলনে হাজির ছিলেন।

বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে সকলে অনুপ্রাণিত। বিচার ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য মানব জাতির কল্যাণ। আমরা বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। উনি বৃহৎ পরিসরে ভাবেন ও স্থানীয় সমস্যার ওপর কাজ করেন।’

তাঁর দাবি, ‘বিশ্বের বৃহৎ গণতন্ত্র ভারত। বিশ্বের মানুষের কৌতুহল এত বড় গণতন্ত্রে কিভাবে এত সাফল্যের সঙ্গে কাজ হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দিতে থেকে সকলে মিলে আধুনিক পরিকাঠামাে গড়তে উদ্যোগী হয়েছি। আমাদের ভবিষ্যত নিয়েও ভাবতে হবে। গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার ব্যবস্থা। আইনসভা ও প্রশাসন অন্যদুটো স্তম্ভ। সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক পরিবেশতখনই গড়ে তােলা সম্ভব যখন তিনটি স্তম্ভ নিজেদের অবদান স্বাধীনভাবে রাখতে পারে।’