নিতি আয়োগের বৈঠকে রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নীতি আয়ােগের পঞ্চম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। (Photo: IANS/PIB)

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর শনিবার প্রথম নীতি আয়ােগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতিভবনে আয়ােজিত নীতি আয়ােগের পঞ্চম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।

তিনি ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের আর্থিক অবস্থান পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার কথা ঘােষণা করেছেন। এটা চ্যালেঞ্জ হলেও তা লক্ষ্য পূরণ সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। এজন্য রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধিই বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলেও তিনি জানান। এজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারগুলিকে একযােগে কাজ করতে হবে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে।

তিনি বলেন, রাজ্যগুলিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার মৌলিক আয়ের ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে জেলাস্তর থেকে তার উন্নয়নের মাধ্যমে জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে হবে। জল সম্পদ উন্নয়ন এবং ব্যাবস্থাপনার ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। এজন্য রাজ্যসরকারগুলির সহযােগিতা জরুরি। তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে নলবাহিত জল সরবরাহ করাই সরকারের লক্ষ্য।


স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষারােগ নির্মূল করার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। তিনি সকল রাজ্যকেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প গ্রহণের অনুরােধ জানান। লােকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমােক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সরকার গঠনের পর এই প্রথম পরিকল্পনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।

এদিন নীতি আয়ােগের বৈঠকে সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এবং উচ্চপর্যায়ের সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু নীতি আয়ােগের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তিনজন মুখ্যমন্ত্রী। এরা হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বৈঠক অর্থহীন। কারণ রাজ্যকে প্রয়ােজন মতে আর্থিক সাহায্য নির্ধারণ করার ক্ষমতা নেই নীতি আয়ােগের। আজকের বৈঠকে মাওবাদী প্রভাবিত জেলার কৃষি সমস্যা, খরা ও অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলােচনা হয়েছে।

নীতি আয়ােগের বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদাদানের দাবি গৃহীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। কারণ বিহার দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি নিয়ে সােচ্চার বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

অন্যদিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তার রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার দাবি পূরণের জন্য লােকসভায় ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং জেডি (ইউ) এর সঙ্গে বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সাংসদরা একযােগে দাবি জানাবেন বলে জানান। বিজেডি’র সংসদীয় দলের নেতা পিনাকী মিশ্র জানান, বিষয়টি যদিও কেবল ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে, তবু একযােগে দাবি জানালে তার প্রভাব কাজ করবে।

এদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং কংগ্রেস শাসিত চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলােচনা করেন।