সুদ কমল পিপিএফ-এ

সুদ কমল পিপিএফ-এ

দিল্লি- ফের এক প্রস্থ সুদের হার কমাল কেন্দ্রিয় অর্থমন্ত্রক। এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার এই হার কমানো হল। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ৭.৮ শতাংশ থেকে এই হার কমে হল ৭.৬ শতাংশ।

পরপর দুবার পিপিএফের সুদের হার কমানোয় চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে মধ্যবিত্তের কপালে। এর আগে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ০.২ শতাংশ হারে কমানো হয়েছিল পিপিএফে সুদের হার।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, এর ফলে ব্যাঙ্কগুলিও তাদের সুদের হার কমাতে বাধ্য হবে।


উল্লেখ্য ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে স্বল্প ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকিল্পগুলিতে সুদের হার নিয়মত ভাবের কমানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের একটা সূত্র দাবি করেছে, বিভিন্ন বন্ড বাজারে ছেড়ে টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে মোদি সরকার।

একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডেও বিনিয়োগ উৎসাহ বাড়াতে চার সরকার। সে কারণেই পরিকল্পিত ভাবে স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার একটু একটু করে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে পিপিএফ সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প গুলিতে সুদের হার কমিয়ে দেওয়ার জনমানসে বাড়ছে অসন্তোষ।

মূলত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা-ভাবনা করেই এই ধরনের প্রকল্পগুলিতে টাকা জমান সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। বিনিয়োগ করে বিপুল মুনাফা লাভ তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাঁদের উদ্দেশ্য দীর্ঘদিনের জমা রাখা টাকায় সুদের অঙ্ক যুক্ত করে ভবিষ্যতকে একটু নিশ্চিত করা।

কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কমিয়ে চলা সুদের হারে অশনি সঙ্কেত দেখছেন সাধারণ মানুষ। আগে নিয়ম ছিল, পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার পাঁচ বছরের মধ্যে সেখান থেকে টাকা তোলা বা বন্ধ করা যাবে না।

কিন্তু কিছুদিন আগেই অর্থমন্ত্রক থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে এবার থেকে আর পাঁচ বছরের অপেক্ষা না করে জরুরী প্রয়োজনে তার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যবে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এভাবে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পিপিএফ সহ ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের গুরুত্বটাকেই লঘু করে দিতে চাইছে।