দু’দিনের মরক্কো সফরে গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মরক্কো থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজের অংশ করতে কোনও আগ্রাসনের প্রয়োজন নেই। একদিন পিওকে নিজেই ভারতের অংশ হতে চাইবে বলে জানান তিনি। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজনাথ সিং। পাকিস্তান বাড়াবাড়ি করলে সিঁদুরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ ফের শুরু হতে পারে বলেও হুঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।
মরক্কোর রাকাতে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ৫ বছর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে নিজের ভাষণের কথা উল্লেখ করেন। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এদিন রাজনাথ সিং বলেন, ‘আমাদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও হামলা চালানোর প্রয়োজন নেই। পিওকে একদিন নিজে থেকেই বলবে আমি ভারতে অংশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেখানকার মানুষই বর্তমান প্রশাসনের থেকে স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। পিওকের সেই স্লোগান আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন।’
দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। পর্যাপ্ত খাবার, জলের উৎস দখল করে শোষণ করার অভিযোগ পাক অধিকৃত বাসিন্দাদের। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। মিললেও চড়া দাম বিভিন্ন জিনিসের। শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা। তার উপর চাপানো হয়েছে অস্বাভাবিক হারে করের বোঝা। যার জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে সেখানকার অধিবাসীদের।
এই পরিস্থিতিতে পাক সরকারের শাসনে থাকতে না চাওয়ার দাবি উঠছে। গত বছরও অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্তি পেতে তীব্র আন্দোলন শুরু করে বলে খবর। যদিও কঠোরভাবে পাক সরকারের তরফে তা দমন করা হয়। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই রাজনাথ এদিন এই বার্তা দেন, যা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অপারেশন সিঁদুরও যে কোনও দিন শুরু হতে পারে বলেও বার্তা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভারত যে কোনও সময় অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ শুরু করতে পারে। পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর বা অনুপ্রবেশকারীদের পাঠানোর সাহস দেখায়, তাহলে ভারত আবারও অপারেশন সিঁদুর শুরু করতে দ্বিধা করবে না।’
উল্লেখ্য, রাজনাথ সিং মরক্কোতে দু’দিনের সরকারি সফরে গিয়েছেন। সেখানে তিনি টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস–এর হুইলড আর্মড প্ল্যাটফর্ম (wheeled armoured platform) উদ্বোধন করবেন। এটি আফ্রিকায় ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের গ্লোবাল উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।