চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছেই লাল গালিচায় স্বাগত জানানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। শনিবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিয়ানজিনে পৌঁছনোর পরই তাঁকে স্বাগত জানান চিনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
হোটেলে পৌঁছনোর পর ভারতীয় প্রবাসীদের উচ্ছ্বাসে আরও একবার ধ্বনিত হল ‘ভারত মাতা কি জয়’ আর ‘বন্দে মাতরম’। শুধু তাই নয়, ভারতীয় প্রবাসীরা আয়োজন করেছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনেরও। এমনকি চিনা শিল্পীরাও বাজিয়েছেন সেতার, সান্তুর, তবলার মতো ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র, যা অনুষ্ঠানে এনে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
জাপান সফর সেরে তিয়ানজিনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) নিজের সফরের কথা জানিয়ে মোদি লিখেছেন, ‘তিয়ানজিনে অবতরণ করলাম। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ফলপ্রসূ আলোচনা এবং বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের অপেক্ষায় আছি।’
দ্বি-দেশীয় সফরের শেষ পর্বে চিনে এসে রবিবার ও সোমবার এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদি। এই সময়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও নির্ধারিত রয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ভারত এসসিও-র পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। ২০২২-২৩ সালে এই সংস্থার কাউন্সিল অব হেডস অব স্টেটের সভাপতিও ছিল ভারত। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে গলওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ-পরবর্তী অচলাবস্থা কাটিয়ে নতুন করে সম্পর্কের ভারসাম্য আনার জন্য নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে দুই দেশ।
২০১৮ সালের জুনে শেষবার চিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় ‘অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন’-এর জন্য ভারত সফর করেছিলেন শি জিনপিং। এই সফর যে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে, তা নিয়েই আশাবাদী কূটনৈতিক মহল।