প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) ভারতের সাংস্কৃতিক ও জাতীয় ঐক্য, দেশপ্রেম এবং জাতির চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করলেন। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক কল্যাণ এবং দুর্যোগতৎপরতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে এই সংগঠেনর অবদানের উল্লেখ করেন।
এই উপলক্ষে আরএসএসের শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত স্মারক ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেন। মুদ্রাটিতে প্রথমবারের মতো ভারত মাতার ছবি খোদাই করা হয়েছে, যা ভারতের মুদ্রার ইতিহাসে একটি বৈপ্লবিক ঘটনা। এতে আরএসএসের মূলমন্ত্র ‘রাষ্ট্রীয় স্বহা, ইদম রাষ্ট্রীয়, ইদম না মমা’ খোদাই করা আছে, যার অর্থ ‘সব কিছু জাতির জন্য উৎসর্গ, সব কিছু জাতির, কিছুই আমার নয়।’
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারত মাতার ছবি একটি মুদ্রায় স্থান পেয়েছে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’ সেই স্মারক ডাক টিকিটে ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠানে আরএসএস স্বয়ংসেবকদের অংশগ্রহণের ঐতিহাসিক মুহূর্ত স্মরণ করা হয়েছে।
আরএসএসের শতবর্ষ উদযাপনে বক্তব্যে মোদী বলেন, ‘আরএসএসের এই গৌরবময় একশো বছরের যাত্রা হলো ত্যাগ, নিঃস্বার্থ সেবা, জাতি গঠন ও শৃঙ্খলার এক অসাধারণ উদাহরণ।’ তিনি সংস্থার চরিত্র গঠন, সমাজের প্রতিটি স্তরের সেবায় অবদান এবং দেশপ্রেমের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ড. কাশীনাথ হেগড়েওয়ারকে শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন, “আমাদের প্রজন্মের স্বেচ্ছাসেবকদের সৌভাগ্য যে, তাঁরা সংস্থার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অংশগ্রহণ করতে পারছে। আজকের দিনে আমি তাঁদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই এবং ড. হেগড়েওয়ারকে নতমুখে শ্রদ্ধা জানাই।’
আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, ‘আগামী বিজয়া দশমী আরএসএসের ১০১তম বছরের পথে একটি বিশেষ স্থান রাখে।’ অনুষ্ঠানে সংস্থার উচ্চপর্যায়ের নেতা ও সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যা আরএসএসের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।