খালেদার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুসারে মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। বিএনপি-র তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৬টা নাগাদ ভোরের নমাজ-এর প্রার্থনার পরেই খালেদার মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরীক্ষার পর ফুসফুসে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সূত্রের খবর, বয়সজনিত কারণে পরিস্থিতি অনেক জটিল হয়ে উঠেছিল। তাঁর শরীরে আগে থেকেই একাধিক সমস্যা ছিল। কিডনির কার্যকারিতাও অনেকটা কমে গিয়েছিল খালেদার।

সোমবারই খালেদার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরা জানিয়েছিলেন, বিএনপি নেত্রীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। নিয়মিত ডায়ালিসিসও চলছিল। সোমবার রাতে মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা-পুত্র তারেক। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী পরিচিতির বাইরে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছিলেন খালেদা জিয়া। স্বামীর মৃত্যুর পর হাল ধরে ছিলেন বিএনপি-র। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা।

দু’দফায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন খালেদা। প্রথম বার ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত। দ্বিতীয় এবং শেষ বার ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। নারীশিক্ষার প্রসারে খালেদা সরকারের ভূমিকার কথা স্বীকার করে থাকেন অনেকেই। দুর্নীতির অভিযোগে ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। সেই সময় থেকেই একাধিক বার অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন তিনি। চলতি বছরের গোড়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ বারেও তেমন পরিকল্পনা করা হয়েছিল।  বিএনপি নেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না-থাকায় সেই ঝুঁকি নেওয়া যায়নি।


প্রয়াত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে খালেদার পরিবার এবং বাংলাদেশের মানুষকে সমবেদনা জানান তিনি। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।‘

প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সঙ্গে খালেদার দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন। ২০১৫ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মোদী। সেই সময় তিনি দেখা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী খালেদার সঙ্গেও। সেই বৈঠকের দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেই বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে  লিখেছেন, ‘২০১৫ সালে ঢাকায় তাঁর  সঙ্গে বৈঠকের কথা মনে পড়ছে।‘  তিনি আরও লেখেন, ‘আমার বিশ্বাস, তাঁর  দৃষ্টিভঙ্গি এবং ঐতিহ্য আমাদের বোঝাপড়াকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে।‘