ভুটানের রাজধানীতে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি-স্তরের বৈঠকে মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব, সীমান্তসংযোগ, উন্নয়ন উদ্যোগ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে এই বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে নতুন সহযোগিতা, ভুটান থেকে ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর সম্ভাবনা এবং সীমান্তপার সংযোগ আরও উন্নত করার বিষয়ে। ভুটানের নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, পর্যটন বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রযুক্তি-সহযোগিতাও এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
দুই দেশের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ভুটানে রেল যোগাযোগ চালুর সম্ভাবনা নিয়েও প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা চলছে। এর ফলে বাণিজ্য ও যাতায়াতে বড় পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সুরক্ষা ও সীমান্ত নজরদারি, সন্ত্রাসবিরোধী তথ্য বিনিময় এবং প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণে যৌথ উদ্যোগ আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
থিম্পুর এই বৈঠক এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন ভারত ‘পড়শি প্রথম’ নীতির আওতায় ভুটানের সঙ্গে সহযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ভুটানের রাজা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী— দুই পক্ষই জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে উন্নয়নমূলক সংযোগ, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় যৌথ উদ্যোগ আরও শক্তিশালী হবে। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে কূটনৈতিক মহল এই বৈঠককে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।