‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে সফলভাবে হামলা চালিয়েছিল ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। সেই সময় থেকেই গোটা বিশ্বের নজরে শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী এই ক্ষেপণাস্ত্র। আর এবার চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে ভারত এবং রাশিয়ার তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভরসা রাখল ফিলিপিন্স।
দক্ষিণ চিন সাগরের সেকেন্ড থমাস শোলে দ্বীপকে কেন্দ্র করে চিন এবং ফিলিপিন্সের মধ্যে অশান্তির শুরু হয়। সময় যত গড়িয়েছে, সেই অশান্তি ততই বেড়েছে। ১৯৯৯ সালে ফিলিপিন্স নৌবাহিনী ওই দ্বীপে অস্থায়ী নৌঘাঁটি বানিয়ে বানিয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে ফিলিপিন্সের কাছ থেকে শোলে দ্বীপের দখল নিয়েছিল চিনা পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
আপাতত জাম্বালেস প্রদেশের উপকূলীয় সেনাঘাঁটিতে ব্রহ্মস মোতায়েন করেছে ফিলিপিন্স। শক্তিশালী এই ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ কয়েকটি মডেল রয়েছে। বছর কয়েক আগেই ব্রহ্মস কেনার জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ফিলিপিন্স। অবশেষে শুক্রবার ফিলিপিন্সের সরকারি সংবাদমাধ্যম আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারত থেকে কেনা ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর এবং ছবি প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং ভারত যৌথভাবে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থলভূমির পাশাপাশি ডুবোজাহাজ এবং জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। অপারেশন সিঁদুর পর্বের পর থেকে ভারতে তৈরি অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে গোটা বিশ্বে। আর্মেনিয়া, মিশর এমনকি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের আর এক শত্রুদেশ ভিয়েতনাম আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারতীয় অস্ত্রে।