উত্তরপ্রদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে মােদিকে সরানাের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে : মায়াবতী

মায়াবতী

দেশে বিজেপি শাসিত জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে যারা নির্বাচন করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে তাঁরাই এখন মোদিকে মসনদ থেকে সরানোর জন্য প্রস্তুত- বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রচার করে বেড়াচ্ছেন যে উত্তরপ্রদেশের ২২ কোটি মানুষ তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। কিন্তু ওই মানুষগুলোই তাঁকে প্রশ্ন করছেন মোদি কেন তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।’ তিনি বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টির তো বটেই, প্রধানমন্ত্রী মোদির বোঝা উচিত সাধারণ মানুষ তাঁকে সরাতেও পারেন। তাঁকে সরানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে।’

বিএসপি-এসপি-আরএলডি জোট ঠিক করেছিল তাঁরা ২২ কোটি লোকের ‘মন কি বাত’ শুনবে, তারপর জোট করবে- তেমনটা করায় দেশের মানুষ খুশি হয়েছেন। বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা ক্ষমতা হারানোর ভয় থেকে হতাশায় ভুগছেন, তা স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের ওপর মইনপুরীর নিকট বাস দুর্ঘটনার একদিন পর সপা নেতা অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেন, ‘যোগী প্রশাসন রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ– টোল ট্যাক্স নেওয়ার পরও যাত্রীদের কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি।’ তিনি টুইট করে লেখেন, ‘এতাহ’তে বাস দুর্ঘটনায় জখমদের দেখতে হাসপাতাল পরিদর্শনে গেছিলাম। প্রশাসনের তো রাজ্যের ভিতর দিয়ে যাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে গুলির ওপর নজর রাখা, প্রয়োজনীয় সংখ্যর পুলিশ মোতায়েন করা। বিজেপি তো ভালো কাজ করতে দিতে চায় না, থামিয়ে দেয়। আমরা কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে তা বিজেপি কর্মীরা থামিয়ে দেন। আমরা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা ও একাধিক সুযোগসুবিধে চালু করার পরিকল্পনা করেছিলাম, তা শুরু করতে দেওয়া হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের দৃষ্টান্ত রাখতে পারেনি। দেশকে ধ্বংস করছে। জমি রক্ষা ও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতেও ব্যর্থ হয়েছে। লোকসভা ভোটে মানুষ ওদের পাল্টা জবাব দেবে।’


দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসা বাস এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যাত্রী নিয়ে ট্রাকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় জনা সাতেক মৃত্যু হয়েছে। জখম ৩৪। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বাসচালকও জখম হয়েছেন।